ব্লগঃ- 'বারো ভুঁইয়া’ নামটা বাংলার প্রায় সমস্ত লোকজনই শুনে থাকবেন | তাঁদের
কেন্দ্র করে বহু বীরগাথা, লোকগাথা লোকমুখে বহুকাল প্রচলিত ছিল| ঐতিহাসিকরা
বলেন যে সংখ্যাটা ঠিক বারো ছিলনা সবসময় , 'বহুসংখ্যক’ বোঝাতে হয়তো ‘বারো’
শব্দটির অবতারণা। আবার অনেকের অনুমান যে অতি প্রাচীনকালে হয়তো বাংলায় বারো
সংখ্যক শক্তিশালী সামন্তরাজা ছিলেন যার ফলে ‘বারোভুঁইয়া’ শব্দটি জনশ্রুতিতে
পরিণত হয়। ‘বারো ভুঁইয়া’ দের কিছু বিবরণ অসমের ইতিহাসেও
দ্রষ্টব্য,কামরূপের এক অধিপতি গৌড়রাজের ভুঁইয়া ছিলেন বলেও জানা যায় |
মধ্যযুগের উত্তর ভারতের শাসকরাও অনেক সময় বাংলাকে ” বারোভুইয়ার মুল্ক” বলে
উল্লেখ করতেন (এদের অনেক বিবরণ আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি ও মির্জা নাথানের
বহরিস্তান-ই-ঘইবি তে পাওয়া যায়)| এর কারণ হল যে বাংলার অধিপতি যেই হোক না
কেন ,পরম্পরাগতভাবে মূল শাসক বা এই ভুঁইয়ারাই ছিলেন| এর কিছু উদাহরণ আরও
প্রাচীনকালে পাল,সেন ও গুপ্তদের আমলেও দেখা যায়| রামপাল যখন বরেন্দ্র
পুনরুদ্ধারের প্রস্তুতি করছিলেন তখন তাঁকে বিপুল সংখ্যক সামন্তকে ভূমিদানসহ
বিভিন্ন উপঢৌকনের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের পক্ষে টানতে হয়েছিল। সন্ধ্যাকর
নন্দী রচিত “রামচরিতম্” কাব্যে এ বিষয়ের বিবরণ দ্রষ্টব্য | বলাবাহুল্য,
মূল রাজার অনুপস্থিতিতে বা অরাজক অবস্থায় এরাই হয়ে উঠতেন রাজ্যের প্রধান
হর্তা-কর্তা|
মধ্যযুগে পাঠানদের কেন্দ্রীয় শাসন যখন মোগল আক্রমণ ও
অভ্যন্তরীণ সামন্তদের বিদ্রোহের ফলে শেষ হয়ে যায় তখন যেসব ভুঁইয়াদের উথ্থান
হয় মূলত সেই ভুঁইয়াদের নামই বিখ্যাত হয়ে আছে | উদাহরণ স্বরূপ
প্রতাপাদিত্য,মুকুন্দ রায়,কন্দর্পনারায়ণ,কেদার ও চাঁদ রায় প্রমুখ
|পাঠ্যপুস্তকে যদিও বিশেষ স্থান এঁদের দেওয়া হয়নি ,তবে তাঁরা সে স্থান
পাওয়ার যোগ্য কিনা তা আজ অবশ্যই বিচার্য বিষয়| এদের মধ্যে মুসলিম ও হিন্দু
দুই ধর্মাবলম্বী ভুঁইয়ারাই ছিলেন |তারা কখনো দিল্লীতে কর দিতেন,কখনো বা
দিতেন না এবং অনেকবার কেন্দ্রীয় শক্তিকে পরাস্ত করে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা
করতেন | বলা হয় সম্রাট বাবরের সময় থেকেই বাংলায় মোগল আক্রমণ শুরু হলেও মোগল
শাসনের সমগ্র বাংলা থেকে পরিপূর্ণ খাজনা আদায় একমাত্র শাহজাহানের সময়
সম্ভব হয়েছিল | বাবরের আত্মজীবনীতে বাঙালিদের প্রতি তার রাগের উল্লেখ দেখা
যায় – ” বাঙালিদের আমি দেখে নেব |”
এই সমস্ত ঐতিহাসিক ঘটনার
(developments) পরিপ্রেক্ষিতে আজ আলোচনার বিষয় হলেন বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম
তথা ভ্রাতৃদ্বয় কেদার রায় ও চাঁদ রায়| কেউ কেউ কেদার রায়কে শ্রেষ্ঠ ভুঁইয়া
বলেছেন এবং মহারাজ প্রতাপাদিত্যের থেকেও অধিক বীর ও চরিত্রবান বলেছেন|
প্রতাপের মতো কুলীন না হওয়ার ফলে(তাঁরা ‘দে’ উপাধিধারী ছিলেন)এই
কায়স্থদ্বয়ের বিবরণ ‘ঘটককারিকা’ তে পাওয়া যায় না| একই কারণে এমন আরও অনেক
বীর হয়তো ইতিহাসে স্থান পাননি| এই ভ্রাতৃদ্বয়ের রাজধানী ছিল ঢাকার শ্রীপুর
বা বিক্রমপুর( বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ)|শাসন ও বীরত্বের জন্য তাদের প্রভূত
খ্যাতি ছিল| বলা হয় সেন আমলের শেষের দিকে দক্ষিণ থেকে নিমু রায় বলে একজন
রাজকর্মচারী এসেছিলেন,যাদব রায়ের দুই পুত্র কেদার ও চাঁদ তারই বংশোদ্ভূত |
বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম ইসা খানের সাথে দুই ভাইয়ের সখ্য ছিল | মোগলবিরোধিতা
তার একটা কারণ (ইসার পিতা ছিলেন হিন্দু রাজপুত কালীদাস গজদানি যে হুসেন
শাহের আমলে গৌড়ে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সুলেইমান খান নামে পরিচিত হন এবং
শাহের ভ্রাতুষ্পুত্রী ফতেমাখানুমকে বিয়ে করেন | পরে বাহাদুর খাঁ তাকে মসনদ
আলি উপাধি প্রদান করেন | বলা হয় যে শেরশাহপুত্র সেলিম খাঁর গৌড় আক্রমণের
সময় সুলেইমান নিহত হন এবং দুভাই ইসা ও ইসমাইল তুরস্কে এক বণিকের কাছে
বিক্রিত হয় | পরে তাদের মামা কুতুবুদ্দিন তাদের উদ্ধার করে এনে নিজ দুই
কন্যার সাথে বিবাহ করান ) |
পরবর্তী কালে, কেদার ও চাঁদের সাথে ইসার
বন্ধুত্ব শত্রুতায় পরিণত হয় | এর কারণরূপে ইসা খানের চাঁদের বিধবা কণ্যা
স্বর্ণমনিকে ছলপূর্বক বিবাহ করাকে ধরা হয় | ইসা এনায়ৎ খানকে দূতরূপে
পাঠিয়েছিলেন চাঁদ রায়ের কাছে পত্র প্রেরণ করতে , যাতে ইসা তার কণ্যার
পাণিগ্রহনের প্রস্তাব রেখেছিলেন | এর ফলে ক্রুদ্ধ ভ্রাতৃদ্বয় ইসা খানের
কলাগাছিয়া দূর্গ আক্রমণ করে বিধ্বস্ত করেন | সেখান থেকে ইসা পলায়ণ করে
ত্রিবেণী দূর্গে চলে যান | বলা হয় যে এসময়ই কেদার ও চাঁদের কুলগুরু
শ্রীমন্ত খাঁ(ভট্টাচার্য) স্বর্ণমণিকে ছলপূর্বক ইসার হাতে সমর্পন করেন |
শ্রীমন্তের প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণ ছিল তার পরিবর্তে এক দেবল ব্রাহ্মণকে
কেদার-চাঁদ ভ্রাতৃদ্বয়ের গুরু রূপে গ্রহণ করা |
তীব্র সংঘাত হেতু
কেদার রায় ইসা খানের একের পর এক অঞ্চল বিধ্বস্ত ও করায়ত্ত করতে থাকেন |
চাঁদ রায় শ্রীমন্তের বিশ্বাসঘাতকতা ও নিজ কন্যার ইসা কর্তৃক তার রাজধানী
তথা সোনারগাঁ এর খিজিরপুরে (বর্তমানে হাজিগঞ্জ) বন্দী হওয়ার ঘটনা শুনে
শোকাহত হন এবং কিছুকালের মধ্যেই হৃদরোগে তার দেহাবসান ঘটে | কেদার অগ্রজের
মৃত্যুর ফলে শোকে কিছুকাল রাজকার্য থেকে বিরত থাকেন | মন্ত্রী রঘুনন্দন
চৌধুরী এই অল্প সময় দক্ষতার সাথে রাজ্য চালান | ইসা খানকে তার জীবৎকাল
পর্যন্ত বারবার কেদারের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়েছিল | পরে ইসা খান
মোগলদের সাথে যুদ্ধ করেও সন্ধি করে বসেন এবং ইসা অনুমানিক ১৫৯৯-১৬০০
খ্রিস্টাব্দে মারা যান |
সেই যুগে শুধু পাঠান-মোগল নয় , মগ ও
ফিরিঙ্গিদের অত্যাচারেও বঙ্গবাসী অতীষ্ঠ ছিল | লবণের খনিরূপে বিখ্যাত
সন্দ্বীপকে ঘিরে বাঙালি-মগ-পর্তুগীজ-মোগল দের মধ্যে বহু যুদ্ধ সংগঠিত
হয়েছিল | নাবিক পর্তুগীজদের সকলেই যে দস্যু ছিলেন তা নয় তবে অবশ্যই তাদের
মধ্যে অনেক অত্যাচারী হার্মাদ ছিল | ফিরিঙ্গিদের পরাজিত করে কেদার রায়
কৌশলে তাদের নিজ রাজত্বের অঙ্গীভূত করেন এবং কার্ভালিয়ান/কার্ভালিয়াস বা
কার্ভালোকে করের বিনিময়ে সন্দ্বীপের রাজকার্য সামলে দেন | কার্ভালো কেদার
রায়ের নৌবাহিনীর প্রধান হন | এই সময় মোগল সেনারা সন্দ্বীপ ঘিরে ফেললে
কার্ভালোর সাহায্যার্থে কেদার সৈন্যপ্রেরণ করেন এবং যুদ্ধে পরাস্ত করে
মোগলদের বিতাড়িত করেন |
অন্যদিকে আরাকানরাজ মেংরাজাগি বা সেলিমশার
দৃষ্টি সর্বদাই সন্দ্বীপের উপর ছিল | তিনি ১৫০ রণতরী পাঠিয়ে সন্দ্বীপ
হস্তগত করতে চাইলে কেদারের বাহিনীর সাথে তার যুদ্ধ হয় এবং মগরা পরাজিত হয়,
সাথে ১৪০ টি তরী কেদার রায় হস্তগত করে ফেলেন | ক্রোধোন্মত্ত আরাকানসম্রাট
পরের বার ১০০০ রণতরী ও বিপুল সৈন্য প্রেরণ করলে আরও ভীষণ যুদ্ধ হয় এবং এতেও
মগরা পরাজিত হয়, ফলস্বরূপ প্রায় ২০০০ মগসৈন্য এতে নিহত হয় | অবিভক্ত
বঙ্গের ইতিহাস অনুসারে, এমন ভীষণ নৌযুদ্ধ বাংলায় আর দেখা যায়নি | পরবর্তীতে
কাভার্লো ক্ষতিগ্রস্ত তরীগুলো মেরামতের জন্য শ্রীপুরে যান | কেদার রায় ঐ
সময় মোগলদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ব্যতিব্যস্ত থাকায় আরাকানরাজ সন্দ্বীপ দখল
করে ফেলে |
মানসিং দ্বিতীয়বার কেদারের সম্মুখীন হতে প্রস্তুত |
তিনি মন্দা রায়ের নেতৃত্বে কেদারের বিরুদ্ধে অর্ধচন্দ্রযুক্ত পতাকাসহ মোগল
নৌবাহিনী প্রেরণ করলে কালিন্দী নদীতে ভীষণ যুদ্ধ হয় | এদিকে রণধ্বনি
‘আল্লাহো আকবর’ , ওদিকে ‘জয় মা ছিন্নমস্তা” | যুদ্ধে মন্দা রায় কেদার
কর্তৃক পরাজিত ও নিহত হয় | এই যুদ্ধে অধিকাংশ মোগলসেনা নিহত হয় এবং অবশিষ্ট
সেনা পলায়ণ করে | তাদের শোণিতধারায় কালিন্দীর জল রক্তিম হয়ে উঠে |
কার্ভালো ছাড়া কেদারের যে কজন সেনাপতি ও অন্যতম যোদ্ধাদের নাম পাওয়া যায়
তারা হলেন রঘুনন্দন রায়, রামরাজা সর্দ্দার, পর্তুগিজ ফ্রান্সিস, কালীদাস
ঢালী, শেখ কালু |
পরের বার মান সিং সেনাপতি কিলমক খানকে সৈন্যসমেত
প্রেরণ করলে সেও পরাজিত ও বন্দী হয়| ইউরোপীয় ভ্রমণকারীরা তাদের বর্ণনায়
কেদার ও মানসিং এর মধ্যে চারবার যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন|
চতুর্থ
বার মান সিং বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিয়ে বিক্রমপুরের দিকে অগ্রসর হন| প্রায় নয়
দিন ব্যাপী এই ভীষণ যুদ্ধ চলতে থাকে| পরিশেষে কেদার পরাজিত হন এবং বলা হয়
যে তার কিছুকাল পরে আরও যুদ্ধ চললে বিদ্রোহ দমন করে কেদারের রাজ্য
বিদ্রোহীদের তথা রঘুনন্দন,রামরাজা,শেখ কালু,ফ্রান্সিসদের মধ্যে বন্টন করে
মান সিং প্রত্যাবর্তন করেন|
বঙ্গের এই বীরের tragedy সম্বন্ধে পরস্পরবিরোধী কিছু প্রবাদ ও তথ্য মেলেঃ-
প্রথমত, বলা হয় যে নবম দিন বীরবিক্রমে লড়াই করার সময় সহসা এক কামানের
গোলার আঘাতে কেদার রায় মূর্ছিত হন এবং বন্দী হওয়ার কিছু কাল পরে তাঁর
মৃত্যু হয়|
দ্বিতীয়ত, নবম( অথবা দশম) দিন যুদ্ধ শুরুর আগে প্রথামত
কেদার রায় ইষ্টদেবী ছিন্নমস্তার পূজা করতে গেলে ধ্যানস্থ অবস্থায় তাঁকে
গুপ্তঘাতক দ্বারা মুন্ডচ্ছেদ করেন মানসিং|
তৃতীয়ত, কেদার পরাজিত
হওয়া সত্ত্বেও মানসিং কেদারের বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে রাজ্যে তাঁর অধিকারকে
স্বীকৃতি দিয়ে প্রত্যাবর্তন করেন| মান সিংহর এহেন কিছু কর্মের উদাহরণ
ইতিহাসে যে বিরল তা নয়|
তবে অনেকেই কেদার রায় সম্বন্ধে প্রাপ্ত
তথ্যগুলির উপর ভিত্তি করে সেগুলির সম্ভাব্য উপসংহাররূপে প্রথম দুটিকে অধিক
যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন|
মোগলদের বিরুদ্ধে বারো ভুঁইয়াদের একজোট
করতে কেদার রায় বহু চেষ্টা করেন, কিয়ত্ সাফল্য লাভ করলেও তিনি এ কার্যে
বিফল হন শেষ পর্যন্ত| তারা একজোট হলে হয়তো পরবর্তী ইতিহাস অন্যরকম হতো
কিন্তু বারোভুঁইয়াদের মধ্যে রেষারেষি চরম স্তরের ছিল, এর সুবিধা মানসিং
অবশ্যই পেয়েছিলেন| তবে কেদার রায়ের কৃতিত্ব দেশপ্রেমীদের কাছে অবশ্যই অক্ষয়
অমর হয়ে থাকবে| বহু টোল, পাঠশালা, মন্দির, কারাগার ,কোষাগার, সেনা ছাউনী
তিনি নির্মাণ করেছিলেন| তাঁর প্রজাবাৎসল্য বহুচর্চিত ও বন্দিত ছিল | যদিও
তাঁর বহু কীর্তি পদ্মানদীর জলে ভেস্তে গিয়েছে |এর ফলে পদ্মা শ্রীপুর স্থানে
‘কীর্তিনাশা’ বলে পরিচিত|
পরিশেষে মানসিং ও কেদার রায়ের মধ্যে এক
বিখ্যাত পত্রবিনিময়ের কথা না উল্লেখ করলেই নয়|মানসিং দূত দ্বারা কেদারের
নিকট তরবারি ও শৃঙ্খল প্রেরণ করেন এবং মিশ্র ভাষায় এক পত্র লেখেন,
“ত্রিপুর মগ বাঙ্গালী, কাক কুলি চাকালি
সকল পুরুষমেতৎ ভাগি যাও পলায়ী
হয়-গজ-নর-নৌকা কম্পিতা বঙ্গভূমি
বিষম সমর সিংহো মানসিংহশ্চয়াতি|”
শেষ লাইনটার অর্থ হল সমরক্ষেত্রে যার সিংহের ন্যায় বিচরণ সেই মানসিংহ আসছেন |
প্রত্যুত্তরে কেদার লিখে পাঠান –
“ভিনতি নিত্যং করিরাজ কুম্ভং
বিভর্তি বেগং পবনাতিরেকং
করোতি বাসং গিরিরাজ শৃঙ্গে
তথাপি সিংহঃ পশুরেব নান্যঃ||”
অর্থাত বায়ুর অপেক্ষা (অধিক) বেগ সিংহের,নিয়ত হস্তীমুন্ড বিদারণ
করে,পর্বতের উচ্চশৃঙ্গে অবস্থানও করে, তবুও সিংহ পরিশেষে একটি পশুই| তিনি
আরও বলেন ” ভেবে দেখো এ শৃঙ্খল কার পায়ে সাজে তরবারি লইলাম লাগাইব কাজে||”
বলাই বাহুল্য যে তাঁর চারিত্রিক তেজ ও বীরবিক্রম এই প্রত্যুত্তরের অক্ষরে
অক্ষরে প্রকাশ পায় |
।।কৃতজ্ঞতা স্বীকার :- মাননীয় অনিমিত্র চক্রবর্তী।।