ওয়েবডেস্কঃ- অতি বিতর্কিত এক নির্দেশিকা দিল লক্ষ্মীপুরের মেয়র আলহাজ্ব আবু তাহের। যার ফলে বিশেষ একটি ধর্মের রীতি রেওয়াজ অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার অভিজোগ উঠলো। কারণ প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় লক্ষ্মীপুর শহরের সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ
ঘোষণা করেছেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবু তাহের। এ সময় মুসলমানের পাশাপাশি
হিন্দুদেরও দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
গত রবিবার সন্ধ্যায়, অঞ্চলের সকল প্রধান সড়কে মাইকিং করে নির্দেশিকাটি সকল ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দোকান বন্ধের বিষয়টি মুসলমানরা সাধুবাদ জানালেও হিন্দুদের উপর
অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।
লক্ষ্মীপুর শহরের এক
হিন্দু ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের পত্রিকা বি.ডি. যোদ্ধা-কে জানান,"নামাজ মুসলমানদের
ইবাদত, এখানে হিন্দুরা কেন নামাজের সময় দোকান বন্ধ রাখবে? তিনি অন্যায় ভাবে
অন্য ধর্মের রীতি হিন্দুদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া
যায় না।" তার সুরে সুর মিলিয়ে আরেকজন মুসলিম ব্যবসায়ী বলেন, নামাজ পড়া হয়ে
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, এখানে কাউকে জোর করে নামাজ পড়ানো কি সঠিক হবে?
তাছাড়া আমাদের ধর্মে নামাজ আছে, তাই না হয় দোকান বন্ধ করে নামাজ পড়তে
গেলাম। কিন্তু হিন্দুরা দোকান বন্ধ করে কি করবে? তারাও কি নামাজ পড়তে হবে?
লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেন, বাংলাদেশ কি এখন পাকিস্তান হয়ে
গেল নাকি, যে জোর করে নামাজ পড়াতে হবে। এটা যার যার মনের ব্যাপার। তিনি বলেন
আমিও নামাজ পড়ি এবং অন্যকে নামাজ পড়তে আহবান জানাই। তাই বলে কাউকে জোর করতে
পারিনা। নামাজ নিজের প্রভুকে খুশি করার জন্য, তাই এটা নিজের মনের ভেতর থেকে
আসতে হবে,জোর করে নয়।
No comments:
Post a Comment