ওয়েবডেস্কঃ- পতাকা নিয়ে গবেষণা করেছেন আসানসোলের গোপালপুরের বাসিন্দা শ্রী কালী শংকর ভট্টাচার্য | অবসর প্রাপ্ত এই রেল কর্মীর শেষ বয়েসে ইচ্ছে হয় নানান দেশের পতাকা নিয়ে গবেষণা করবেন | কারণ একটা জাতীয় পতাকার মধ্যে থাকে অনেক অনেক জাতি, বর্ণ, ধর্মের সমষ্টি |
আমাদের দেশের ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে কালী শংকর বাবুর মুখে শোনাগেল আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাস |
উনি আমাদের জানালেন, আমাদের দেশের বর্তমান জাতীয় পতাকাটি অতীতে এমনটি ছিল না | অনেক মত বিরোধ, অনেক ভাবনা চিন্তার পর আজকের তেরঙ্গা পতাকা নির্বাচিত হয়েছে | আমাদের এখনকার জাতীয় পতাকা এর আগে ১২ বার বিবর্তিত হয়েছে | প্রথমে সাদার ওপর লাল সূর্য দেওয়া পতাকাকে ভারতের জাতীয় পতাকার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল | কিন্তু অনেকের বিরোধিতায় পাল্টানোর সিধান্ত নেওয়া হয় |
ভগ্নী নিবেদিতাও ভারতের জাতীয় পতাকার ব্যাপারে তাঁর ভাবনা জানিয়েছিলেন | যদিও শেষ পর্যন্ত সেটা গ্রহণ করা হয়নি | এমন একের পড় এক অনেক ঘটনার পর জাতীয় পতাকার মর্যাদা পায় যে পতাকাটি সেটি ছিল ওপরে লাল, মাঝে হলুদ, নিচে সবুজ রঙ | এই পতাকায়ে ওপরে ফুল ও নিচে চাঁদ, সূর্য ছিল |
একজন ভারতীয় নাগরিক পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া-র প্রস্তাব অনুসারে ১৩ তম বারে পরিবর্তিত হয়ে ১৯৪৭ সালের ২২সে জুলাই নির্বাচিত হল আমাদের এখনকার গেরুয়া-সাদা-সবুজ অশোক চক্র যুক্ত এই জাতীয় পতাকা | যদিও এই পতাকাটির সঙ্গে কংগ্রেসের পতাকার প্রচুর মিল। শুধুমাত্র সুতো কাটার চরকির পরিবর্তে এই পতাকাতে আশোকচক্রকে স্থান দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রায়ে সব কিছুই কংগ্রেসের পতাকার মতোই। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলণ করলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু |
No comments:
Post a Comment