Friday 11 August 2017

মাদ্রাসাতে স্বাধীনতা দিবসে দেশের পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক, যোগীর নির্দেশ




কলকাতাঃ-  উত্তরপ্রদেশের সমস্ত মাদ্রাসায় স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হবে, সঙ্গে গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত। এমন নির্দেশই জারি করা হল  রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। বিজ্ঞপ্তি জারি করেই এই নির্দেশই  মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের পক্ষ থেকে দিয়েছে রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসা গুলোকে।

  ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অবৈধ কসাইখানা বন্ধের সূত্রপাতও তারই হাত ধরে। হাজার বিতর্ক সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সত্তরতম স্বাধীনতা দিবসের আগে ফের সংবাদের শিরোনামে উঠে এল তাঁর আরও এক সাহসী সিদ্ধান্ত। এবার স্বাধীনতা দিবসে প্রত্যেক মাদ্রাসাকে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে এবং সঙ্গে সকল শিক্ষক এবং ছাত্রকে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইতেই হবে।

  একটি হিসাব অনুযায়ী  রাজ্যে প্রায় ৮০০০ মাদ্রাসা রয়েছে। যার মধ্যে ৫৬০টি সরকার অনুমোদিত। উত্তরপ্রদেশের একাধিক মাদ্রাসাতে যে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়ে না বা জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়ে না এইসব জানিয়েই এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। দু'বছর আগে কোর্টের তরফ থেকে তদন্ত করিয়ে সকল মাদ্রাসা গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, ভারতের পতাকা উত্তোলন ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াকে বাধ্যতামূলক করার জন্য। অনেকেই মনে করেন কিছু এমন মাদ্রাসা এখনও রয়েছে যারা এই বিষয় গুলোকে সম্পূর্ণ ভাবে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে চলে। তাদের কথা মাথায়ে রেখেই এই নির্দেশ।


 
   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মাদ্রাসায় সকাল আটটা নাগাদ শুরু হবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। পড়ুয়াদের সামনেই উত্তোলন করা হবে জাতীয় পতাকা। পড়ুয়াদের সঙ্গে মিলে সকলে একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গাইবে। এরপর পড়ুয়ারা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনি নিজের মতো করে বলবে। বলে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানের কথা। জাতীয়তাবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকবে প্রত্যেক জেলার সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকরা। পুরো অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও টাও তুলেও রাখতে হবে।

  বলাই বাহুল্য মাদ্রাসাদের এই রকমের নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্কে ঝড় উঠেছে। বিজেপি তথা সংঘ বিরোধী ব্রিগেড বলতে শুরু করেছে, মাদ্রাসাদের এই নির্দেশ দেওয়ার আগে সংঘের হেড কোয়ার্টারে জাতীয় পতাকা তোলা হোক। যদিও সংঘের তরফ থেকে জানা গেছে ২৬ সে জানুয়ারি এবং ১৫ ই আগস্ট নাগপুরে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ে। তা ছাড়াও সংঘ কোন দিনই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিরোধ করেনি।

No comments:

Post a Comment

loading...
loading...