Wednesday 9 August 2017

৯ বছরের ছাত্রকে ধর্ষন করে খুন করলেন মাদ্রাসার শিক্ষক

 ঢাকা,বাংলাদেশ: রাজধানীর পল্লবীর একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিছানা থেকে নয় বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করছে পরিবারের সদস্যরা।
নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাথের ব্যবসায়ী দুলাল খান তার মৃত শিশু পুত্র হাফিজুর রহমান কাওসারকে সপ্তাহ দুয়েক আগে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে পল্লবীর ৫ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত মারকাজুল তারতিলিন কোরান নামের ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছিলেন।
পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, ‘সোমবার সকালে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মো. জুনায়েদ বিন ইসহাকের বিশ্রাম কক্ষের বিছানা থেকে শিশু কাওসারের দেহ উদ্ধার করা হয়।’
কাওসারের পিতা দুলাল খান বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে ধর্ষণ করার পর হত্যা করেছে জুনায়েদ হুজুর। কিন্তু মাদ্রাসা থেকে বলেছে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে, এটা পুরোপুরি মিথ্যা।’
 তিনি আরও বলেন, ‘আমার পর পর চারটা মেয়ে হয়েছে, তারপর এই ছেলে হলো। তাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিলো। তার মৃত্যুর খবর মাদ্রাসার কোনও শিক্ষক বা শিক্ষার্থী আমাকে দেয়নি।
পাশের বাড়ির এক লোকের মাধ্যমে এক ছাত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে দৌড়ে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি সেখানে অনেক আগে থেকে পুলিশ এসে কাজ করছে। তারপর খবর পেলাম আমার ছেলেটা মরেছে।’

রোববার রাতের কোনো এক সময় তার ছেলেকে ধর্ষণ করার পর জানাজানির ভয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে পিতা দুলাল খান বলেন, ‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারে না। এতটুকু বাচ্চা কি জন্যেই বা আত্মহত্যা করবে!
আমি আজ খোঁজ নিয়ে মানুষের কাছে শুনেছি মাদ্রাসার জুনায়েদ হুজুরের বদ অভ্যাস আছে। বাচ্চাদের সাথে অনেক খারাপ কাজ করে। ওই মাদ্রাসার আরও অনেক হুজুরও একই কাজ করে। কেন যে ছেলেটাকে ভর্তি করানোর আগে খোঁজ নিলাম না! তাহলে আজ আমার কাওসার বেঁচে থাকতো।’
পল্লবীর ওসি দাদন ফকির জানিয়েছেন পুলিশ আত্মহত্যার কোনো নমুনা এখনো পায়নি।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘শিশুটি মাদ্রাসার একটি শৌচাগারে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
সেখানে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে অধ্যক্ষের বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে আসে বলে আমাদের জানিয়েছে কয়েক শিক্ষার্থী।
তবে আত্মহত্যার কোনো নমুনা পাওয়া যায়নি। পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। শাওয়ার পাইপের অবস্থানের সাথে শিশুটির উচ্চতার অসামঞ্জস্য আছে। তাছাড়া আত্মহত্যার কথা বলা হলেও গলায় কোনো চিহ্ন নেই বা পরিস্থিতি সে রকম দেখা যায়নি।’
কাওসারের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের উপর তার মৃত্যুর কারণ নির্ভর করছে।’
ধর্ষণ করা হয়েছে কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি দাদন ফকির বলেন, ‘মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ব্যাপারে অভিভাবকদের অভিযোগ শুনেছি আমরা। কোনও সম্ভাবনাই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সেজন্য সকল চিন্তা মাথায় রেখে আমরা তদন্ত করছি। প্রয়োজনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
source:- ebizctg.com

No comments:

Post a Comment

loading...
loading...