Thursday 24 August 2017

বাংলার শ্রেষ্ঠ তাঁত শাড়ির সম্ভার নিয়ে বসেছে শান্তিপুর বঙ্গের হাট

হঠাৎ আজ ঘুরতে ঘুরতে শান্তিপুর চলে গেলাম, পূজো সামনেই একটু কেনাকাটা করতেই গেছিলাম। সকাল ৬ টায় পৌঁছলাম শান্তিপুর বঙ্গের হাটে। দেখলাম শয়ে শয়ে হাতের তৈরী বাংলার বিখ্যাত তাঁতের শাড়ি নিয়ে বসে আছে ব্যবসায়ীরা। কেনাকাটার লোক ও প্রচুর। পাইকারী ও খুচরা দুই ধরনেরই শাড়ি বিক্রি হয় ওই হাটে।

বড় বড় শপিং মল অথবা এসি দোকানগুলোর থেকে এখানে অনেক ইনেক বেশি আইটেম পাওয়া যায়, তাও খুবই কম দামে। ঢাকাই জামদানি, টাঙ্গাইল, শান্তিপুরী সব ধরনেরই শাড়ির বিপুল সম্ভার এই হাটে।

তবে ইদানিং চারিদিকে বন্যা হওয়ার জন্য এই বছরের পুজোর ব্যবসা একটু মন্দা, এই হাটে উত্তরবঙ্গ থেকেও প্রচুর লোক আসে কাপড় কিনতে। কিন্তু ওখানে বন্যার জন্য এখন লোক ঠিকমত আসতে পারছেনা। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা দুজনেরই মাথায় হাত।

তবুও শাড়ি ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বেঁধে আছে, ওরা ভালো মতোই জানে বাঙালির সেরা উৎসব তাঁতের শাড়ি ছাড়া বেমানান। তাই সকাল সকাল কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে কিছু বিক্রির আশায় হাটে ছুটছে।

আর ক্রেতা একটু কম আসার কারণেই শাড়ির দামে ফারাক দেখা যাচ্ছে, বিক্রেতাদের এক অংশের মতে সারা বছর তাঁরা পূজোর এই কটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে ভালো বিক্রির আশায়। কিন্তু এবছর চিত্রটা একটু ভিন্ন। তাই লাভের পরিমান কমিয়ে দিয়ে যদি বিক্রি বাড়ানো যায় তাহলে একটু শান্তি আসবে।

আপনারা যাঁরা যাঁরা তাঁতের শাড়ি খুবই ভালো বাসেন, তাঁরা এই পুজোর মরশুমে একবার শান্তিপুর হাটে ঘুরেই আসুন না। কম দামে অনেক ভালো ভালো শাড়ি পাবেন। এতে দু পক্ষেরই লাভ, আপনিও কম দামে পাচ্ছেন, আর বিক্রেতারাও বিক্রি করে আনন্দে বাড়ি যেতে পারছেন।

এটুকু বলতে পারি, আপনি ঠকবেন না। কারণ এখানে শাড়ি যেরকম ভালো তেমন দামটাও আপনার হাতের মুঠোয়। তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি চলে যান শান্তিপুর বঙ্গের হাটে। নিজের জন্য এবং নিজের প্রিয়জনদের জন্য কমদামে ভালো ভালো তাঁতের শাড়ি বাড়ি নিয়ে যান।

কলকাতা থেকে যাওয়ার জন্য শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরে শান্তিপুর স্টেশনে নেমে, টোটো করে মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তা। হাট বসবার সময় প্রতি রবি এবং বৃহস্পতি বার ভোর ৪ টে থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত।



No comments:

Post a Comment

loading...
loading...