কলকাতাঃ-মিশরের ভ্যালি অফ কিংস এক রহস্যময় স্থান, না জানি কত রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ঐ অঞ্চলে। ঐ অঞ্চলের সব কিছুতেই কেমন যেন রহস্যের গন্ধ লেগে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে নেপোলিয়নের দ্বারা আরব দের হাত থেকে মিশরের দখল নেওয়ার পর থেকেই মূলত আধুনিক যুগের সংস্পর্শে আসে মিশর। তারপর থেকেই শুরু হয়ে মিশর নিয়ে বিশেষ গবেষণার কাজ। আর এই গবেষণার জন্যই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়ে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য নয়েতো পর্দা উন্মোচিত হয়েছে রহস্যের থেকে।
বর্তমানে এমনই এক গবেষণা নিয়ে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত
হচ্ছে। গবেষণা চলছে মিশরের গিজা পিরামিডকে
নিয়ে। এর
ভিতরেই নাকি লুকিয়ে রাখা আছে
কয়েক কোটি টাকার সোনা দানা সম্পত্তি। আর এই সম্মপত্তির সন্ধানেই উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। ওনাদের ধারণা গিজা পিরামিডের
মধ্যে নাকি আছে গোপন
কক্ষ। আর ঐ কক্ষের গোপনীয়তা নিয়েই যত রহস্য।
গিজার পিরামিড ৪০০০ হাজার বছরের
পুরনো, ৪৭৯ ফুট উঁচু।
বিশ্বের প্রাচীন ধারার পিরামিড গুলোর মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠও বলা যেতে পারে । এই পিরামিড সাত আশ্চর্যের মধ্যে
এক আশ্চর্য। এই পিরামিডের রহস্য এবার প্রকাশ্যে আনতেই এবার কোমর
বেঁধে লেগে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। শুরু
হয়েছে স্ক্যান পিরামিড নামে এক মিশন। গিজা
পিরামিড,যা বেশি পরিচিত
খুফু পিরামিড নামে, তার রহস্য
উন্মোচনের কাজ শুরু হয়েছে। একটি
গোপন কক্ষ রয়েছে বলে
দাবি করে বিজ্ঞানী মেহদি
তায়োবি বলছেন, এখন সেই
গোপন কক্ষটি খোঁজার কাজ
চলছে।
সেই খোঁজপ্রক্রিয়ায়
ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মোগ্রাফি। তাপের
সাহায্যে পিরামিডের ভেতরে কোথাও কি
রয়েছে, তার হদিশ পাওয়ার
চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও একটি চেম্বার রয়েছে
বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে
এখনও সে সম্পর্কে নিশ্চিত
কোনও তথ্য মেলেনি।
ইজিপ্টের কনিষ্ঠতম ফ্যারাও তুতেনখামেনের মমি আবিষ্কারের পাশাপাশি,
উদ্ধার হয়েছিল বিপুল সম্পত্তি। সেভাবেই
রানি নেফারতিতির সমাধিও আবিষ্কৃত হবে
বলে আশা করছেন তাঁরা। ফ্যারাও
আকেনাতেনের স্ত্রী নেফারতিতি জীবিত
থাকাকালীন খুব শৌখিন ছিলেন
বলে ইতিহাস জানায়।
তাই তাঁর সমাধিস্থলেও থাকতে
পারে গোপন কক্ষ, যেখানে
হয়তো লুকিয়ে আছে মূল্যবান
অনেক কিছু। তারই
সন্ধানে খোঁজ চলছে।
তথ্যঃ প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment