Monday 7 August 2017

সুপ্রিম কোর্টে লাভ জিহাদে’র হয়ে সওয়াল করছে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল



কলকাতাঃ-   ভারতে প্রথমবার ‘লাভ জিহাদ’ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। গত শুক্রবারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।  দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠনগুলি ‘লাভ জিহাদ’ ব্যবহার করে থাকলেও ভারতে এই শব্দ প্রথম ব্যবহার করে কেরালার এক খ্রিস্টান ধর্মযাজক, এই শব্দ ব্যবহারকারী সকলের মতেই এটি হল একটি ইসলামি ষড়যন্ত্র। যখন একজন বিধর্মী মেয়েকে নিজ পরিচয়(ধর্ম) গোপন রেখে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের নামে বা বলপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়, সেটাই হল ‘লাভ জিহাদ’। এই ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।

  কেরলের এক হিন্দু তরুণী এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করে। একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে তাঁদের আলাপ হয় এবং সেখান থেকেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। তারপর ধর্মান্তরিত হয়ে ওই মুসলিম যুবককেই বিয়ে করেন ওই তরুণী। মেয়েটির পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণী আসলে ‘লাভ জিহাদে’র শিকার।
মগজধোলাই করে তাঁকে বিয়ে করেছে ওই মুসলিম যুবক। চক্রান্তের শিকার হয়েছে ওই তরুণী। মেয়ে চক্রান্তের শিকার হয়েছে, এই দাবি তুলে আদলতে মামলা করেন তরুণীর বাবা কেরলের হাইকোর্টে মামলা করেন।  কেরল আদালত বিষয়টি বিস্তৃত ভাবে তদন্ত করে মেয়ের বাবার অনুকূলেই রায় দেয়। এবং এর পর মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান মেয়ের বাবা কেএম অশোকান।

  বিয়ের(বিতর্কিত) বিরুদ্ধে আদালতের রায় মানতে পারেননি ওই মুসলিম যুবক। কেরল হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেস করেন তিনি। তাঁর হয়ে সওয়াল করতে রাজি হয়ে যান আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং ইন্দিরা জয়সিং। ওই যুগলের বিয়েকে অবৈধ ঘোষণাকারী কেরল হাই কোর্টকে আক্রমণ করেছেন দুই আইনজীবী, “২৪ বছর বয়সী ওই তরুণী প্রাপ্তবয়স্ক। তিনি কাকে বিয়ে করবেন বা কোন ধর্ম অনুসরণ করবেন তা সম্পূর্ণ তার ইচ্ছা। এতে পরিবার কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।” যদিও তরুণীর পরিবারের তরফ থেকে হাতিয়ার করা হয়েছে কেরল হাইকোর্টের রায়কে। তাদের দাবি, “কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি নিজে তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার পরই এই বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।”

  দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে সমগ্র ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী দশ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে এনআইএ-কে। চলতি মাসের ১৬ তারিখ অর্থাৎ ১৬ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।  এরই মধ্যে নেটিজেনদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে এসেছে। কেউ বলছে কংগ্রেসের এই উকিল নেতার ভিসিট আকাশ ছোয়া, সাধারণ ঘরের ঐ ছেলেটি এতো টাকা পেলো কথা থেকে? কেউ আবার সরাসরি প্রশ্ন তুলে জিজ্ঞাসা করেছে যে কপিল সিব্বল কি এই কেস বিনা খরচে লড়ছেন ??






























 



তথ্যঃ- Kolkata24x7

No comments:

Post a Comment

loading...
loading...