Thursday 31 August 2017

ধর্মের নামে দেশ ভাঙতে মরণ কামর দেবে রোহিঙ্গা মুসলিমরা



ওয়েবডেস্কঃ- ভারতের মতই ধর্মের নামে দেশ ভাঙ্গার জন্য এবার "করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে"-র মতো শপথ নিলো রোহিঙ্গা মুসলিমরা। শেষ কয়েক দশক ধরে চলা এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলনকে আরও তীব্র করা হবে বলে যানা গেছে। ২৫ আগস্ট ২০১৭-তে একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিম, মায়ানমারের সেনা ঘাটিতে আক্রমণ চালিয়ে একাধিক সেনাকে হত্যা করে। এরই প্রতিশোধ নিতে সে দেশের সেনারা নতুন করে অভিযান চালানো শুরু করেছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিকেশ করতে। 

  রয়টার্সের তরফ থেকে যানা গেছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা এবার তৈরি হয়েই রয়েছে বন্দুক-বোমা ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে সেনার মোকাবিলা করার জন্য। বিগত কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে তারা বুঝে গেছে এই রকম এক দু' ঘা দিয়ে চুপ করে বসে গেলে সব বিপ্লব বা বিচ্ছিন্নতা আন্দোলন শেষ হয়ে যায়ে। নতুন করে আবার যুব সমাজকে তৈরি করতে হয়ে। তাই ঐ মুসলমান জন গোষ্ঠীর অনেকেই এবার বন্দুক হাতে তৈরি হয়েই রয়েছে মায়ানমার-কে ভেঙে আরও একটা মুসলিম রাষ্ট্র তৈরি না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য।

  ২৫ আগস্ট ২০১৭ থেকে মায়ানমার সেনা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে এক তিব্র অভিযান শুরু করেছে। ফলে সীমানা পেরিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেন রোহিঙ্গারা৷ তবে বরাবরের মতোই বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফেরত পাঠাচ্ছে রোহিঙ্গাদের৷ ফলে নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম৷ তবে এবার শরণার্থীদের ঢলে একটু পরিবর্তন দেখছেন বিজিবি সদস্যরাও৷ অন্যান্যবার পুরো পরিবারসহ রোহিঙ্গারা পালিয়ে এলেও এবার শরণার্থীদের দলে তরুণ ও মাঝ বয়সী পুরুষদের সংখ্যা একেবারেই কম বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা৷ মাঝ বয়সী রোহিঙ্গা পুরুষরা রয়ে গেছে মায়ানমার সেনার সঙ্গে লরাই করার জন্য। অনেককে আবার জোর করেই লরাই করতে নিয়ে গেছে আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মি (এআরএসএ)।

  বাংলাদেশে আগত শরণার্থীদের একজন, হাজেরা বেগম তিন ছেলেকে নিয়ে গত মাসে সীমানা টপকে বাংলাদেশে এসেছেন৷ তাঁর আরো দুই ছেলে রয়ে গেছেন যুদ্ধ করবেন বলে৷ বাংলাদেশে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর আরেক ছেলেও যোগ দেন লড়াইয়ে৷ এএফপিকে তিনি বলেন, ‘‘ওরা(মায়ানমারের সেনাবাহিনী) আমাদের এমনিতেই মারবে৷ এরা (এআরএসএ) আমাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে৷ আমি আমার ছেলেদের পাঠিয়েছি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে৷” তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার সন্তানদের উৎসর্গ করেছি, আরাকানের জন্য৷” 

  কিন্তু এবার প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে কেন ঐ অঞ্চলের মুসলমান রোহিঙ্গারা বারংবার ধর্মের নামে দেশটা-কে ভাঙতে চায়ে? কেন ওরা ঐ দেশে বাকি সম্প্রদায়ের মানুষদের মতই মিলে মিশে থাকতে পারে না? 

  উল্লেখ্য রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা মুসলমানেরা অত্যন্ত গরীব, কিন্তু তার পরেও মায়ানমারের সেনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য কোটি কোটি টাকার আধুনিক অস্ত্র কোথা থেকে ওদের হাতে আসছে তা যানা জায়েনি। ৪০-র দশকে আরাকান-কে পাকিস্তান ভুক্তির বিফল চক্রান্তের পর এখনই রোহিঙ্গা মুসলিম-রা সব থেকে তীব্র মায়ানমার ভাঙ্গা আন্দোলন শুরু করেছে।

Wednesday 30 August 2017

ডোকলামে কী ভারতের নৈতিক জয় হল?



ওয়েবডেস্কঃ- কয়েকদিন আগে থেকে ভারত ও চিনের সেনা ডোকলাম ছাড়া শুরু করেছে। শেষ হয়ে গেল প্রায়ে তিন মাস ব্যাপি দুই সুপার পাওয়ারের মুখোমুখি অবস্থান। দুই দেশেরই পিছিয়ে যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে ভুটান। কারণ এই দুই দেশের সেনার মুখোমুখি অবস্থান ঘটেছিল ভুটানের অন্তর্গত ডোকলাম উপত্যকাতেই।

  কিন্তু এই অবস্থান শেষ হওয়ার পর কয়েকটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারত কি হেরে ফিরলো ডোকলাম থেকে? ১৯৬২-র মতই চিন কি জিতে গেল? ভারত যে দাবি নিয়ে ডোকলামে সেনা পাঠিয়েছিল তার কতটা পূরণ হল?

  এইসব প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার আগে মনে রাখা উচিৎ, ডোকলামে কিন্তু কোন যুদ্ধ হয়েনি, শুধুমাত্র যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাই ভারত বা চিন জিতলো না হারলো এই প্রশটাই অবান্তর। আসলে প্রশ্ন হওয়া উচিৎ কার দাবি মান্যতা পেল, কারণ দুই দেশই নির্দিষ্ট কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে ডোকলামে সেনা পাঠিয়েছিল।

  ভূটানের অংশ ডোকলামে সমস্যা তৈরি হয়ে চিন গায়ের জোরে ঐ অঞ্চলের দখল নিতে চাইলে। মে মাসের শেষ ও জুন মাসের প্রথমে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের অংশ বলে দাবি করা ভূটানের অংশ ডোকলামে চিন সেনা পাঠিয়ে রাস্তা তৈরি করতে চায়ে। ভুটানের তরফ থেকে ভারতকে আবেদন করা হয়ে, চিনের এই আগ্রাসন থেকে তাদের রক্ষা করতে। জুনের মাঝামাঝি সময় প্রতিবেশি মিত্র দেশের আবেদন মেনে নিয়ে ভারত সেনা পাঠিয়ে চিনের রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয়, আর তখন থেকেই ভারত ও চিনের সেনা ডোকলামে মুখোমুখি অবস্থান করেছে। 

  ভারত প্রথম থেকেই বলেছে, রাস্তা তৈরি বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে কারণ এই রাস্তা তৈরি করলে চিন সেনা উত্তরবঙ্গের জলপাইগুরির কাছে চিকেন নেক-কে বেকার করে বাকি-ভারতের সঙ্গে গোটা উত্তরপূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে খুব সহজেই দখল করে নিতে পারে। চিন বরাবর বলে এসেছে ওরা না তো রাস্তা তৈরি বন্ধ করবে, না তো কোন আলোচনাতে যাবে। নিঃশর্ত ভাবে ভারতকে সেনা সরাতে হবে। একের পর এক হুমকিও চিন জারি করেছিল ভারতের বিরুদ্ধে। কূটনৈতিক ভাবে একাধিক দেশকেও পাশে পাওয়ার বিফল প্রচেষ্টাও করেছিল। কোন কিছুতেই কিছু না হওয়াতে শেষে এক রকম বাধ্য হয়েই ডোকলাম থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে চিন। আপাতত রাস্তা তৈরি হওয়ার সম্ভবনা না থাকার জন্য ভারতও সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ডোকলাম থেকে।

  চিনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “জলবায়ুগত এবং অন্য বিশেষ কিছু কারণ”-র জন্য আপাতত চিন ঐ অঞ্চলে রাস্তা তৈরি করবে না। জলবায়ুগত কারণ ছাড়াও এই অন্য বিশেষ কিছু কারণ-টা কি সেটাই যত জল্পনার সৃষ্টি করেছে। অনেকের মতে এটা অন্য কিছুই না চিন বুঝে গেছে ১৯৬২-র ভারত আর নেই। দেশ ও দেশের বাইরে ভারত এখন অনেক শক্তিশালী। এই ভারতকে হারানো সহজ নয়ে। তাই বুদ্ধিমান চিন, ভারতের দাবিকেই ঘুর পথে মান্যতা দিয়ে আপাতত ভুটানের ঐ অঞ্চলে জোর করে রাস্তা তৈরি থেকে বিরত থাকছে। ডোকলাম সমস্যার এই রকম ভাবে শেষ হওয়াতে কিন্তু ভারতের নৈতিক জয়টা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

Tuesday 29 August 2017

আপনাদের ভালোবাসায় ফিনিক্স পাখি হয়ে আবার ফিরে এলো কেচ্ছা



 রাখে হরি, মারে কে? বাংলার এই সুপ্রাচীন প্রবাদটি যে কতটা সত্য সেটার প্রমাণ হাতে নাতে পাওয়া গেল। কয়েকদিন আগে কিছু দেশদ্রোহী এবং স্ব-জাতিদ্রোহীদের চক্রান্তে পেজটাকে বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের হেটার্সদের থেকে শুভাকাঙখীদের সংখ্যা অনেক গুন বেশী। তাই আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন আর অ্যাডমিন প্যানেলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা আবার পেজটিকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হই। কোনো ষড়যন্ত্র করেই প্রতিবাদী কীবোর্ড বন্ধ করা যাবেনা। আর কেচ্ছা সেটার জলজ্যান্ত প্রমান।

ধন্যবাদ জানাই আপনাদের আমাদের পাশে থাকার জন্য, কেচ্ছা এবার আগের থেকেও বেশি আক্রমণাত্মক হবে। কেচ্ছা কোনোদিনও কাউকে সমীহ করে চলেনি আর চলবেও না। কোনো শক্তির কাছেই কেচ্ছা হার মানবে না।

আবারও বলছি কেচ্ছা হেটার্সদের উদ্দেশ্যে, মনে রেখ/রাখিস/রাখবেন প্রবাদটি, "রাখে হরি(এবং আমাদের সমর্থকরা), মারে কে"?

কেচ্ছা ... চলছে ... চলবে ❤

Sunday 27 August 2017

ধর্ষক গুরমিত সিং এর ভাইরাল চপার ছবির পিছনের সত্যতা

২৫ আগস্ট ২০১৭ হরিয়ানার পঞ্চকোট আদালত রাম রহিমকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পর। হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির ঝড় তোলে রাম রহিমের অন্ধ ভক্তরা। আর তাঁর পরেই রাম রহিমের একটি ছবি ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে, যেই ছবিতে রাম রহিমকে একটি ভিআইপি চপারে করে মুখে সিগারেট/চকলেট নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।

রাম রহিমের সাথে যেই মহিলাটিকে দেখা যাচ্ছে, উনি হলেন রাম রহিমের কন্যা হ্যানিপ্রীত ইনসান। কর্তৃপক্ষ ও এটা নিশ্চিত করেছে যে ঐ মহিলাটি রাম রহিমের কন্যা। এবং তাঁর কন্যা এখন তাঁর সাথে নেই। আর রাম রহিমকে অন্য কয়েদির মতোই রাখা হয়েছে। কোনো ভিআইপি এর মত না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এটা জানাতে চাননি যে কেন রাম রহিমের কন্যা তাঁর সাথে একই চপারে ছিল।

নিয়ম অনুযায়ী কোনো আত্মীয়ই কয়েদির সাথে একসাথে যাতায়ত করতে পারবেনা, আর কয়েদির সাথে দেখা করার জন্য জেলে যেতে হবে, তাও জেলর নিয়ম মেনেই দেখা করা যাবে।

রাম রহিম যেই হেলিকপ্টারে বসে আছে, সেটি হলো AW139 আর এই হেলিকপ্টার ভিআইপি এবং কর্পোরেট লোকেদের জন্য ব্যবহৃত হয়। Aw139 হলো একটি ১৫ সিটের অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড কোম্পানির হেলিকপ্টার। ঠিক একইরকম হেলিকপ্টার ২০১৪ লোকসভা ভোটে নরেন্ড মোদীর প্রচারে ব্যবহৃত হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে ওই হেলিকপ্টারটি রাম রহিমকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ভাড়া করা হেয়েছিল।

আপাতত রাম রহিম রোহতাকের সুনাইরা জেইলে রয়েছে, এবং চলতি মাসের ২৮ তারিখে ওনার সাজা ঘোষণা হবে। রাম রহিমের অন্ধ ভক্ত দ্বারা অশান্তি এড়িয়ে চলতেই আদালত থেকে ২৫০ কিমি দূরে এই জেলে রাম রহিমের সাজা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোর্ট।

এই ছবি/ভিডিও টি ভাইরাল হওয়ার পর, হরিয়ানা সরকারের ডেপুটি
এডভোক্যাট জেনারেল "গুরুদাস সালওয়ারা" কে বরখাস্ত করেছে হরিয়ানা সরকার। কারণ ওই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে গুরুদাস সালওয়ার আসামি রাম রহিমের সুটকেস বহন করছে।

Saturday 26 August 2017

উত্তপ্ত মায়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাণ্ডবে।


 ওয়েবডেস্কঃ- মায়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংর্ঘষে প্রায়ে ১০০ জন নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার ভোরের আগে বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের একটি দল আক্রমণ করে রাখাইন অঞ্চলের একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ চেকপোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে। দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (এআরএসএ) শুক্রবারের হামলার দায় স্বীকার করে আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল। 

   মায়ানমারের নেত্রী নোবেল জয়ী আন সাং সুচি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মায়ানমার সরকারী মুখপত্র বারাত দাইয়ে জানায়, শনিবারও রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় সংর্ঘষ ছিল অব্যাহত। আন সাং সুচি-র কার্যালয় জানিয়েছে, সংর্ঘষের ফলে এক সৈন্য এক অভিবাসন কর্মকর্তা এবং ১০  জন পুলিশ কর্মী  নিহত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭৫-র বেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিম মারা গেছে বলেও যানা গেছে।

  রাখাইনে হামলার মাত্র একদিন আগেই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া এবং মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য মায়ানমার সরকারের কাছে আবেদন জানায়, রাখাইন প্রদেশের জন্য গঠিত "অ্যাডভাইজরি কমিশন"। রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূতপূর্ব মহাসচবি কোফি আন্নানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন প্রতিবেদনে আরো জানায়, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান না দেখালে রোহিঙ্গা এবং  বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী কট্টরপন্থার দিকে আরও এগিয়ে যাবে।

  এই অশান্তির ফলে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে একাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম।  বর্ডার গার্ড বাংলাদশে (বিজিবি) ১৪৬ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে যানা গেছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাত একটার দিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমরা ঘরে তৈরি দেশি বোমা দিয়ে, রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের  মংডুর বেশ কয়েকটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায়ে। সামরিক সূত্র জানায় এক হাজারের বেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী মংডু ও বুথিডং জেলার বিভিন্ন এলাকার হামলায় অংশ নিয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একাধিক চেকপোস্ট আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।  রাখাইনের এই হামলা গুলোর দায় স্বীকার করে এআরএসএ বলেছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো হামলা চালানো হবে। গত বছররে অক্টোবরের পর রাখাইন-এ এটি সবচেয়ে বড় হামলা। সেনাও জানিয়েছে যে তারা এর শেষ দেখেই ছাড়বে।

  প্রসঙ্গত বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে মায়ানমারের মানুষদের লড়াই বহু দশকের। ব্রিটিশদের সময় থেকেই এই সংঘর্ষ চললেও ব্রিটিশ পরবর্তী যুগে এর সূত্রপাত হয় মূলত ধর্মীয় কারণে মায়ানমারের রোহিঙ্গা প্রদেশকে মায়ানমার থেকে আলাদা করার দাবির জন্য। রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারত ভাঙ্গার কায়েদাতেই মায়ানমারকেও ধর্মের অজুহাতে ভাঙতে চেয়েছিলএমনকি ভারত ভাঙ্গার কারিগর মহঃ আলি জিন্নাহ-কেও তারা চিঠি লিখে জানিয়েছিল যে তারা মুসলিম দেশ পাকিস্তানের সঙ্গেও যুক্ত হতে চায়ে। পরবর্তীকালে
  অনেকটা ভারতের কাশ্মীরের কায়েদাতেই ভিনধর্মী মুক্ত রাখাইন প্রদেশ তৈরির জন্য নিরীহ শান্তিপ্রিয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করে। ঐ অঞ্চলের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের ওদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠার পর মায়ানমার সরকার ১৯৮২ সালে ওদের নাগরিকত্বই কেরে নেয়। তখন থেকেই বিচ্ছিন্নতা কামী এই রোহিঙ্গা মুসলিমরা রাষ্ট্রহীন একটি মানব গোষ্ঠী।

বিতর্কিত ভাসান নির্দেশিকা, হিন্দুদের পাশে ত্বহা, মমতার পাশে বামেরা?!!


ওয়েবডেস্কঃ-  সাম্প্রদাইক সম্প্রীতির নজির গড়ল ফুরফুরা-শরীফের প্রধান, পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে মহরম ও প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে যে ফরমান জারি করেছেন তা নিয়ে বিতর্ক হয়েই চলেছে। রাজ্য বিজেপি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই ফরমান অসংবিধানিক, কোন ভাবেই এক ধর্মের উৎসবের অজুহাতে অন্য ধর্মের উৎসব-র উপর সরকার এভাবে নিয়ম-নির্দেশিকা চাপাতে পারে না। সরকার এই ফরমান না বদলালে বিজেপি-র তরফ থেকে কোর্টে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এবার বিজেপি-র এই দাবিকেই সমর্থন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন মুসলিম সমাজের একাধিক গণ্যমান্য ব্যাক্তি। তাদের মধ্যে অন্য তম ফুরফুরা-শরীফের প্রধান, পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।

  ৩০শে সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ১লা অক্টোবর পর্যন্ত কোন প্রতিমা বিসর্জন করা যাবেনা বলে সরকারী বিজ্ঞপ্তি ও  জারি করা হয়েছে। কারণ হিসাবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র মহরমকে প্রকাশ্যে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যাদের জন্য এতকিছু তারাই যে এভাবে প্রতিবাদ করবে সেটা হয়ত ভাবতেই পারেনি  তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। 

   ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি টাইমস্ বাংলাকে বলেন – “কোরানের কথা অনুযায়ী তুমি তোমার ধর্ম করো অন্যকে তার ধর্ম করতে দাও, অর্থাৎ ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে। সে মহরমের দিন বিসর্জন হোক, কিম্বা ঈদের দিনে বিসর্জন হোক মুসলমানদের এতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।”

  একটু এগিয়ে পিরজাদা আরো বলেন- "যদি দুর্গাপুজোর সময় ঈদ পড়ে আর সেই ঈদ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় তাহলে মুসলিম জনমানসে তার কি প্রভাব পড়তে পারে সেটা আগে আমাদের ভাবা উচিত। রাজ্য প্রশাসন দুই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোন আঘাত না হেনে সাম্য ও সম্প্রীতির বাংলায় নিজ নিজ ধর্ম পালনে সহযোগিতা করবে এটাই আশা রাখি"।

  অন্যদিকে রাজ্যের শিয়া সম্প্রদায়ের প্রধান সাঈদ ফিরোজ হোসেন জাইদি  বলেন - "মুসলিমরা মহরমের জন্য অন্য কোন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে নয়। আমরা এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোন আবেদনও করিনি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এটা একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত"। তিনি আরও বলেন-"আমরা যে ধর্মগ্রন্থকে মেনে চলি সেই পবিত্র কোরান যখন উভয় সম্প্রদায়কে মিলে মিশে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের ছাড়পত্র দিচ্ছে, তখন আমি আপনি কে সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার? এটা রাজ্যর প্রশাসনিক দুর্বলতার কথা মাথায় রেখে মমতা ব্যানার্জীর ব্যক্তিগত একটি সিদ্ধান্ত, এর সাথে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোন সম্পর্কই নেই"।

  এই রাজ্যে ৩৪ বছর রাজত্ব্য করা বামেদের সময়ও দুর্গাপূজার গায়ে গায়ে মহরম প্রতি বছরই হত। কোন বছরই মহরমের কারণে দুর্গাপূজা-র ভাসানের জন্য আলাদা ভাবে কোন নির্দেশিকা জারি করার দরকার পরেনি। তবে মমতা ব্যানার্জীর এই বিতর্কিত নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আপাতত বাম-দল গুলোর তরফ থেকে অফিসিয়ালি কোন বিরোধিতাই করা হয়েনি। এমন কি বিমান বা সূর্য বাবুদের টিভি বাইটেও এর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা জায়েনি। এর কারণ হিসাবে অনেকেই অবশ্য বলছেন, পালে হাওয়া লাগানোর জন্য বামেরা মমতার মতই প্রকাশ্যে তোষামোদের রাজনীতি করা শুরু করেছে। আবার অনেকে প্রশ্ন তুলেছে, কানহাইয়া রাজ্যে এসে মমতা বন্দনা করে বাম-তৃণমূল জোটের যে আভাস দিয়েছে, সেই রেষ ধরেই কি বামেরা এই নির্দেশিকার বিরোধ না করে উল্টে তৃণমূল সরকারকে নিরব সমর্থন দিচ্ছে?

Friday 25 August 2017

৩০০ মসজিদের মাইক খুলে নিল বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ডিফেন্স পার্টনার দেশ




ওয়েবডেস্ক:‌  চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের ২১সে অগাস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী পশ্চিম চিনের কিছু এলাকার মসজিদে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পশ্চিম চিনের হুয়ালং হাই অঞ্চলের প্রশাসন প্রায়ে ৩০০ টা মসজিদ থেকে ১০০০-র বেশি লাউডস্পিকার খুলে নেয়। এর প্রতিবাদে ঐ অঞ্চলে বসবাস কারি মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা অমুসলিমদের অসহিষ্ণু বলেছেন বলে জানা গেছে। কারণ মূলত তাদের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ নিল চিন সরকার।

  এই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাবাভিক ভাবেই শুরু হয়েছে দারুণ বিতর্ক  প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শব্দদূষণের কারণেই লাউডস্পিকার গুলোকে খুলে ফেলা হয়েছে এর আগেও চীনের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল একাধিকবার মসজিদ গুলোকে অনুরোধ করা হলেও তারা কোন ভাবেই আজানের সময় লাউডস্পিকারের শব্দ কমায়েনি ডেইলিমেল-র রিপোর্ট অনুযায়ী স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন আজানের সময় লাউডস্পিকারের ব্যবহারে তারা বিরক্ত হচ্ছেন  না চাইলেও আজানের জন্য তাদের ভোরবেলা ঘুম ভেঙে যাচ্ছে, হৃদরোগ আক্রান্তরা এবং অন্যান্য রুগীরাও অনেকই অসুবিধাতে পরে যাচ্ছে এই শব্দের ফলে।

  স্থানীয় মুসলিমদের একটা বড় অংশ সরকারের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তাদের বক্তব্য, এটা সরাসরি ধর্মাচারণের অধিকারে সরকারি দমননীতি কোনও সরকার কখনওই এভাবে কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের ওপরে এভাবে কর্তৃত্ব জাহির করতে পারে না। যদিও গ্লোবাল টাইমস অনুযায়ী চিনের প্রশাসন মুসলিমদের ধর্মীয় আচার অনুস্থান পালনের জন্য কোন বাধাদান করেনি। মসজিদ থেকে আজান নিষিদ্ধ করা হয়েনি শুধুমাত্র লাউডস্পিকার-কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও স্থানীয় অমুসলিমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন বাকি প্রদেশ গুলোতেও যেন চিন প্রশাসন এই রকম সদর্থক ভুমিকা পালন করে।


  উল্লেখ্য বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই উগ্র-ইসলামিক মৌলবাদকে ঠেকানোর অজুহাতে চিনের বাম সরকার একের পর এক নির্দেশিকা চাপিয়েছে মুসলিম সমাজের উপর। উল্লেখযোগ্য নির্দেশিকা গুলি হল,
  • মসজিদে যে কোন লেখা আরবি নয়ে চিনা ভাষাতেই লিখতে হবে। 
  • সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা যুক্ত মুসলিমরা রামজানে উপবাস করতে পারবে না। 
  • কেউ আরব বেদুইনদের মতো গোঁফ-হীন লম্বা দাড়ি রাখতে পারবে না। 
  • মুখ ঢাকা বোরখা/নিকাব এমন কী ফেজ টুপিও(মসজিদের বাইরে) নিষিদ্ধ। 
  • ১৮ বছরের কম বয়সী কারুর মসজিদে যাওয়ার উপরেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। 
 যদিও এত কিছুর পরেও চিনের প্রশাসন বা কোন প্রধানের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করার মতন সাহস দেখাতে পারেনি সে দেশের মৌলবিরা। এমন কি চিনের বুদ্ধিজীবীরাও চিন সরকারকে অসহিষ্ণু বলে অ্যাওয়ার্ড ফেরানো-তো দূরঅস্ত মৌখিক বিরোধিতা-টুকুও করেনি নির্দেশিকা গুলোর বিরুদ্ধে।

নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডের সংখ্যাতে ভারত বিশ্বে তৃতীয় ?!!


 কলকাতাঃ- একদিকে ডোকলাম আর একদিকে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক-চিন উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন ইংল্যান্ডের এক কলেজে চলা বিতর্ক অনুষ্ঠানে কিছু তথ্য সমেত চাঞ্চল্যকর দাবি করা হল। সেই দাবি অনুযায়ী রাশিয়া এবং আমেরিকার পর ভারতেই নাকি সব থেকে বেশি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড রয়েছে। ভারত নাকি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেডের সংখ্যাতে পৃথিবীতে তৃতীয়। বিষয়টি এখনও দাবির মধ্যে থাকলেও, ঐ দুই ভারত বিরোধী দেশের ঘুম কেরে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

  অনেকটা এই রকমের দাবিই বেশ কিছুদিন ধরে করে আসছিল পাকিস্তান। কাশ্মীরে পাকিস্তানের উস্কানির পালটা জবাব ভারত যে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে দিয়ে চলেছে, তাতে ধর্মীয় মৌলবাদকে মদত দেওয়া পাকিস্তান এমনিতেই বেশ চিন্তিত। ৮০-র দশক থেকে শুরু হওয়া ধর্মীয় উগ্রবাদী আন্দোলনের জবাব এভাবে এর আগের ভারত কোন সরকার দেয়নি। এমতাবস্থায় ভারত ২৬০০ টি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হওয়ার(মতান্তরে মজুত রয়েছে) খবরটি পাকিস্তানকে আরও অনেক বেশি শঙ্কিত করলো। শুধু শঙ্কিত বলাটা ভুল, রীতিমত এই শঙ্কায় কাঁপছে গোটা পাকিস্তান।

  পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, "২০০৮-র ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির আওতায় ভারতে আমদানিকৃত পরমাণু জ্বালানি, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি অন্য উদ্দেশে সরিয়ে ফেলা হতে পারে। এবিষয় নিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়ে পাকিস্তান"। এনএসজিতে ভারত যাতে কখনও ঢুকতে না পারে সেজন্যেও জোরাল দাবিও তুলেছেন নাফিস জাকারিয়া।  কারণ তার মতে, ভারত যদি এনএসজিতে ঢুকে পড়ে তাহলে দক্ষিণ এশিয়াতে আরও উত্তেজনা বাড়বে। যদিও অন্য কোন দেশ থেকেই ওনার এই বক্তব্যকে সমর্থন করে, ভারতকে এনএসজিতে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য জোরালো সওয়াল করা হয়েনি।

  লন্ডনের কিংস কলেজে ঠিক কি বলা হয়েছিল? সেখানে বিতর্ক সভাতে বিশেষ কিছু তথ্য দিয়ে আলফা প্রোজেক্টের থেকে দাবি করা হয়েছে ভারতে ২৬০০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। রাশিয়া এবং আমেরিকার পরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত উল্লেখ্য ৫০ থেকে ৮০-র দশকের মধ্যে শীতল যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ও আমেরিকা এই দুই দেশ মিলিয়ে প্রায়ে ২০ হাজারের কাছাকাছি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড মজুত করে। ১৯৮৯-এ সোভিয়েত ভেঙে রাশিয়াতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে, আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়ই কিছু পরিমাণ নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড নষ্ট করে দেওয়া শুরু হয়ে। এরপরেও রাশিয়ার কাছে সাড়ে সাত হাজার এবং আমেরিকার কাছে ছয় হাজারের মতো ওয়ারহেড রয়েই গেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

  লন্ডনের কিংস কলেজে আরও দাবি করে বলা হয়েছে এই মুহূর্তে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মত শক্তিশালী দেশের থেকেও বেশি পরিমাণের নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড এবং সেগুলো বহনকারী মিশাইলের সংখ্যাতেও ভারত এগিয়ে। ২০২২ সালের মধ্যে ভারত সমুদ্রে তিনটে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন নামানোর লক্ষ্য নিয়ে চলেছে। এর সঙ্গে কানাঘুষো খবর, আগামি দিনে আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিউক্লিয়ার পাওয়ার এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে ভারত। যদি এই খবর গুল সত্যি হয়ে থাকে তবে অতি দ্রুত আমেরিকা বাদে বাকি সব ন্যটোর দেশের থেকে শক্তিশালী নৌ-বাহিনী থাকবে ভারতের এবং এইসব দেশের থেকে বেশি সংখ্যায় পরমাণু হাতিয়ার বহনের ক্ষমতা সম্পন্ন হবে ভারতীয় নৌ-বাহিনী।

  বর্তমানে সরকারি হিসাব অনুযায়ী চিনের কাছে ২৭০, পাকিস্তানের ১৩০ এবং ভারতের কাছে ১২০ টা পরমাণু বোমা রয়েছে। তবে এইসব বিতর্কের সময় করা দাবিটা সঠিক প্রমাণ হলে হিসেবটাই বদলে যাবে। যদিও নতুনদিল্লীর তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়াই দেওয়া হয়েনি। তারা যেমন বিষয়টা স্বীকার করেনি, তেমন বিষয়টা-কে সরাসরি অস্বীকার-ও করেনি। আর এতেই সন্দেহ এবং শঙ্কা আরও গভীর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান এবং চিনের মত ভারত বিরোধী দেশ গুলোর।
loading...
loading...