ওয়েবডেস্কঃ- ভারতের মতই ধর্মের নামে দেশ ভাঙ্গার জন্য এবার "করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে"-র মতো শপথ নিলো রোহিঙ্গা মুসলিমরা। শেষ কয়েক দশক ধরে চলা এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলনকে আরও তীব্র করা হবে বলে যানা গেছে। ২৫ আগস্ট ২০১৭-তে একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিম, মায়ানমারের সেনা ঘাটিতে আক্রমণ চালিয়ে একাধিক সেনাকে হত্যা করে। এরই প্রতিশোধ নিতে সে দেশের সেনারা নতুন করে অভিযান চালানো শুরু করেছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিকেশ করতে।
রয়টার্সের তরফ থেকে যানা গেছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা এবার তৈরি হয়েই রয়েছে বন্দুক-বোমা ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে সেনার মোকাবিলা করার জন্য। বিগত কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা থেকে তারা বুঝে গেছে এই রকম এক দু' ঘা দিয়ে চুপ করে বসে গেলে সব বিপ্লব বা বিচ্ছিন্নতা আন্দোলন শেষ হয়ে যায়ে। নতুন করে আবার যুব সমাজকে তৈরি করতে হয়ে। তাই ঐ মুসলমান জন গোষ্ঠীর অনেকেই এবার বন্দুক হাতে তৈরি হয়েই রয়েছে মায়ানমার-কে ভেঙে আরও একটা মুসলিম রাষ্ট্র তৈরি না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
২৫ আগস্ট ২০১৭ থেকে মায়ানমার সেনা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে এক তিব্র অভিযান শুরু করেছে। ফলে সীমানা পেরিয়ে দলে দলে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেন রোহিঙ্গারা৷ তবে
বরাবরের মতোই বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ
(বিজিবি) ফেরত পাঠাচ্ছে রোহিঙ্গাদের৷ ফলে নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়েছেন
হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম৷ তবে এবার শরণার্থীদের ঢলে একটু পরিবর্তন দেখছেন বিজিবি সদস্যরাও৷
অন্যান্যবার পুরো পরিবারসহ রোহিঙ্গারা পালিয়ে এলেও এবার শরণার্থীদের দলে
তরুণ ও মাঝ বয়সী পুরুষদের সংখ্যা একেবারেই কম বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা
এএফপিকে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা৷ মাঝ বয়সী রোহিঙ্গা পুরুষরা রয়ে গেছে মায়ানমার সেনার সঙ্গে লরাই করার জন্য। অনেককে আবার জোর করেই লরাই করতে নিয়ে গেছে আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মি (এআরএসএ)।
বাংলাদেশে আগত শরণার্থীদের একজন, হাজেরা বেগম তিন ছেলেকে নিয়ে গত মাসে সীমানা টপকে বাংলাদেশে
এসেছেন৷ তাঁর আরো দুই ছেলে রয়ে গেছেন যুদ্ধ করবেন বলে৷ বাংলাদেশে আসার এক
সপ্তাহের মধ্যে তাঁর আরেক ছেলেও যোগ দেন লড়াইয়ে৷ এএফপিকে তিনি বলেন, ‘‘ওরা(মায়ানমারের সেনাবাহিনী) আমাদের এমনিতেই মারবে৷
এরা (এআরএসএ) আমাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে৷ আমি আমার ছেলেদের পাঠিয়েছি
স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে৷” তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার সন্তানদের উৎসর্গ করেছি, আরাকানের জন্য৷”
কিন্তু এবার প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে কেন ঐ অঞ্চলের মুসলমান রোহিঙ্গারা বারংবার ধর্মের নামে দেশটা-কে ভাঙতে চায়ে? কেন ওরা ঐ দেশে বাকি সম্প্রদায়ের মানুষদের মতই মিলে মিশে থাকতে পারে না?
উল্লেখ্য রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা মুসলমানেরা অত্যন্ত গরীব, কিন্তু তার পরেও মায়ানমারের সেনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য কোটি কোটি টাকার আধুনিক অস্ত্র কোথা থেকে ওদের হাতে আসছে তা যানা জায়েনি। ৪০-র দশকে আরাকান-কে পাকিস্তান ভুক্তির বিফল চক্রান্তের পর এখনই রোহিঙ্গা মুসলিম-রা সব থেকে তীব্র মায়ানমার ভাঙ্গা আন্দোলন শুরু করেছে।