বেজিংঃ- ভারতের সঙ্গে কোন ভাবেই
যুদ্ধ না করতে চাওয়ার কথা এবার সরাসরি জানিয়ে দিল চীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল রেন গেওকিয়াং।
তিনি সোমবার ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান,‘‘চৈনিক মিডিয়া যুদ্ধ সংক্রান্ত যে খবর
প্রচার করছে তা শুধু মাত্র বিশেষজ্ঞদের চিন্তা ভাবনা মাত্র৷ সরকার কি ভাবছে তার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের বক্তব্যটা জানার দরকার৷’’
ডোকলাম সমস্যা
নিয়ে কি তবে ভারতের বিরুদ্ধে সুর নরম করছে চীন? কয়েকটা দিন আগেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দেওয়া চীন কি তবে ১৮০
ডিগ্রি ঘুরে যেতে চলেছে নিজের অবস্থান থেকে? এসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অদুর
ভবিস্যতেই পাওয়া যাবে, তবে আপাতত চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য কিন্তু
পূর্ববর্তি কট্টর অবস্থান থেকে সরে আসারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
চীনের সরকারি
মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমসে কয়েকদিন আগেই
প্রচার করা হয়েছিল,ডোকলাম থেকে ভারতের সেনা না সরালে ভারতের সঙ্গে লিমিটেড বর্ডার
ফাইট বা বর্ডার স্কারমিসে জড়াতে পারে চিন। দু’জন আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিশেষজ্ঞই অবশ্য এই ধরণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাদের
বক্তব্যকে উদ্ধৃত করেই সরকারি মুখপত্র থেকে ঐ খবর ছাপা হয়ে বলে জানা
গেছে। ঐ মুখপত্রটি আরও বলেছিল সর্বোচ্চ দু’সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের সঙ্গে বর্ডার স্কারমিসে জড়াতে চলেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি৷ সেই মতো প্রস্তুতি
শুরু করেছে চীন৷ চিনের সরকারি মুখপাত্রে প্রচারিত এই খবর প্রকাশের পরই ভারত-চিন যুদ্ধের আশঙ্কা শুরু হয়৷
কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করে দেন
চিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল রেন গেওকিয়াং৷তিনি সম্পূর্ণ ভাবে ঐ খবরের জন্য দায়ী করেন চীনের মিডিয়া গুলোকেই৷
ভারত ও চীন এশিয়া
মহাদেশের দুটি নিউক্লিয়ার সুপার পাওয়ার, তাই এই দুই সুপার পাওয়ারের মধ্যে লড়াইয়ের
ফলে দু’দেসের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এ কথা স্পষ্ট ভাবেই তার কথা থেকে বোঝা
যায়ে। আসলে ১৯৬২-র ভারত যে আর নেই একথা স্পষ্টতই বুঝতে পারছে বামপন্থী দেশের
নেতৃত্ব। ICBM সমেত বিভিন্ন ব্যালেস্টিক মিসাইল, নিউক্লিয়ার পাওয়ারে
পরিণত হওয়া, শেষ তিন বছরে নরেন্দ্র মোদির বিদেশ গমনের ফলে একাধিক দেশের সঙ্গে নতুন
করে তৈরি হওয়া উষ্ণ সম্পর্ক এবং মূলত দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ভারতের আমেরিকার পক্ষে
অবস্থান ইত্যাদি কারণে চীন অনেক চেয়েও কূটনৈতিক ভাবে ভারতকে আগ্রাসী প্রমাণ করে একঘরে
করে উঠতে সক্ষম হয়ে নি। তাই হয়েতো এই শক্তিশালি নতুন ভারতের সঙ্গে এঁটে ওঠার জন্য
এবার ট্র্যাক টু-ই বেছে নিচ্ছে চীন।
No comments:
Post a Comment