Saturday 30 September 2017

দূর্গা পূজারও এমন ইতিহাস, ভাবা যায়ে !!??

 
 ওয়েবডেস্কঃ- বারো মাসে তের পর্বণ কথাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য প্রচলিত থাকলেও শারদীয়া বা দূর্গা পূজাই বেশি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয়। দেবী দূর্গা হলেন শক্তির রূপ, তিনি পরব্রহ্ম। অনান্য দেব দেবী মানুষের মঙ্গলার্থে তাঁর বিভিন্ন রূপের প্রকাশ মাত্র। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুসারে দেবী দূর্গা ‘দূর্গতিনাশিনী’ বা সকল দুঃখ দুর্দশার বিনাশকারিনী। পুরাকালে দেবতারা মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর’র শরীর থেকে আগুনের মত তেজরশ্মি একত্রিত হয়ে বিশাল এক আলোক পূঞ্জে পরিণত হয়। ঐ আলোক পুঞ্জ থেকে আর্বিভূত এক দেবী মূর্তি। এই দেবীই হলেন দুর্গা। দিব্য অস্ত্রে সজ্জিত আদ্যাশক্তি মহামায়া অসুর কুলকে একে একে বিনাশ করে স্বর্গ তথা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে শান্তি স্থাপন করেন।
 
  দেবী দূর্গা ত্রি-নয়না বলে তাঁকে ‘ত্রৈম্বক্যে’ বলা হয়। তাঁর বাম চোখ হলো বাসনা (চন্দ্র), ডান চোখ কর্ম (সূর্য) ও কেন্দ্রীয় চোখ হলো জ্ঞান (অগ্নি)। দূর্গার দশ বাহুতে যে দশটি অস্ত্র রয়েছে, সেই অস্ত্রসমূহও বিভিন্ন প্রতীকের ইঙ্গিতবাহী। শঙ্খ ‘প্রণব’ বা ওঙ্কার ধ্বনির অর্থবহতা নির্দেশ করে। তীর ধনুক দেবীর শক্তিমত্তার প্রতীক। মায়ের হস্তে ধৃত বজ্রাগ্নি হলো ভক্তের সঙ্কল্পের দৃঢ়তা। দূর্গা’র হাতের পদ্ম বা ‘পঙ্কজ’ অর্থ হলো পদ্ম যেমন কাদামাটির ভেতর হতে অনাবিল হয়ে ফোটে, তেমনি দেবীর উপাসকরাও যেন লোভ-লালসার জাগতিক কাদার ভেতর হতে আত্মার বিকাশ ঘটাতে পারে। দেবীর তর্জনীতে ধরা সুদর্শন চক্র তাঁর শুভতার লালন ও অশুভের বিনাশের ইচ্ছার প্রকাশ। দূর্গার হাতে ধরা তলোয়ার জ্ঞানের ইঙ্গিত ও ত্রিশুল হলো সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ গুণের প্রকাশ। হিন্দু শাস্ত্র মতে, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও ভয়-শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।
 
  দূর্গা পূজা কবে, কখন, কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল তা জানা যায় না। ভারতের দ্রাবিড় সভ্যতায় মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড় জাতির মধ্যে মাতৃদেবীর পূজার প্রচলন ছিল। সিন্ধু সভ্যতায় (হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো সভ্যতা) দেবীমাতা, ত্রিমস্তক দেবতা, পশুপতি শিবের পূজার প্রচলন ছিল। দূর্গা শিবের অর্ধাঙ্গিনী সে হিসাবে অথবা দেবী মাতা হিসাবে পূজা হতে পারে। তবে কৃত্তিবাসের রামায়নে আছে, শ্রী রাম চন্দ্র কালিদহ সাগর (বগুড়ার) থেকে ১০১ টি নীল পদ্ম সংগ্রহ করে সাগর কূলে বসে বসন্তকালে সীতা উদ্ধারের জন্য সর্বপ্রথম শক্তি তথা দুর্গোৎসবের (বাসন্তি পূজা বা অকাল বোধন) আয়োজন করেছিলেন। মারকেন্দীয়া পুরান মতে, চেদী রাজবংশের রাজা সুরাথা খ্রীষ্ট্রের জন্মের ৩০০ বছর আগে কলিঙ্গে (বর্তমানে উরিষ্যা) নামে দূর্গা পুজা প্রচলন করেছিল। যদিও প্রাচীন উরিষ্যার সাথে নেপালের পূজার কোন যোগসূত্র আছে কিনা জানা নাই।
ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায় মধ্য যুগে বাংলা সাহিত্যে দূর্গা পূজার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ১১শ শতকে অভিনির্ণয়-এ, মৈথিলী কবি বিদ্যাপতির দূর্গাভক্তিতরঙ্গিনীতে দূর্গা বন্দনা পাওয়া যায়। বঙ্গে ১৪শ শতকে দুর্গা পূজার প্রচলন ছিল কিনা ভালভাবে জানা যায় না। ১৫১০ সালে কুচ বংশের রাজা বিশ্ব সিংহ কুচবিহারে দূর্গা পূজার আয়োজন করেছিলেন। ১৬১০ সালে কলকাতার বারিশার রায় চৌধুরী পরিবার প্রথম দূর্গা পূজার আয়োজন করেছিল বলে ধারণা করা হয়। ১৭৯০ সালের দিকে এই পূজার আমেজে আকৃষ্ট হয়ে পশ্চিম বঙ্গের হুগলি জেলার গুপ্তি পাড়াতে বার জন বন্ধু মিলে টাকা পয়সা (চাঁদা) তুলে প্রথম সার্বজনীন ভাবে আয়োজন করে বড় আকারে দূর্গা উৎসব। যা বারোইয়ার বা বারবন্ধুর পূজা নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়।

  আধুনিক দূর্গা পূজার প্রাথমিক ধাপ ১৮ম শতকে নানা বাদ্য যন্ত্র প্রয়োগে ব্যক্তিগত, বিশেষ করে জমিদার, বড় ব্যবসাযী, রাজদরবারের রাজ কর্মচারী পর্যায়ে প্রচলন ছিল। পাটনাতে ১৮০৯ সালের দূর্গা পূজার ওয়াটার কালার ছবির ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে। উরিষ্যার রামেশ্বরপুরে একই স্থানে ৪০০ শত বছর ধরে সম্রাট আকবরের আমল থেকে দূর্গা পূজা হয়ে আসছে। ১৯১০ সালে সনাতন ধর্মউৎসাহিনী সভা ভবানীপুরে বলরাম বসু ঘাট লেনে এবং একই জেলায় অন্যান্যরা রামধন মিত্র লেন, সিকদার বাগানে একই বছরে ঘটা করে প্রথম বারোয়ারী পুজার আয়োজন করে।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে দূর্গা স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে জাগ্রত হয়। বিংশ শতাব্দির প্রথমার্ধে এই পূজা ঐতিহ্যবাহী বারোয়ারী বা কমিউনিটি পূজা হিসাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর স্বাধীনতার পর এই পূজা পৃথিবীর অন্যতম প্রধান উৎসবের মর্যাদা পায়।
 
  সরকারি বা জাতীয়ভাবে এই উৎসবকে দূর্গা পূজা বা দূর্গা উৎসব হিসাবে অভিহিত করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় এটাকে শরৎ কালের বার্ষিক মহা উৎসব হিসাবে ধরা হয় বলে একে শারদীয় উৎসবও বলা হয়। কার্তিক মাসের ২য়দিন থেকে ৭ম দিন পর্যন্ত এই উৎসবকে মহালয়া, ষষ্ঠি, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও দশমী নামে পালন করা হয়। অকালে বা অসময়ে দেবীর আগমন বা জাগরণ বলে বসন্তকালের এই উৎসবকে বাসন্তি পূজা বা অকালবোধনও বলা হয়।
 
  দূর্গা পূজা ভারতের মূলত পূর্বের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার, ঝাড়খন্ড,উড়িষ্যাতে ব্যাপকভাবে উৎযাপন করা হয়। সেখানে ৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। পশ্চিম বঙ্গ ও ত্রিপুরায় (যেখানে বাঙালি হিন্দুরা ব্যাপক সংখ্যায় বসবাস করে) সবচেয়ে বড় সামাজিক, ধর্মীয় উৎসব হিসাবে পালিত হয়। এ ছাড়াও পূর্ব ভারতের বা পশ্চিম বঙ্গের কলকাতা, হুগলী, শিলিগুড়ি, কুচবিহার, লতাগুড়ি, বাহারাপুর, জলপাইগুড়ি এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল যেমন, আসাম, বিহার, দিল্লী, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়–, কেরালায় ঘটা করে এই উৎসব পালন করা হয়। নেপালে ও ভুটানেও স্থানীয় রীতি-নীতি অনুসারে প্রধান উৎসব হিসাবে পালন করা হয়।
 
 বর্তমানে ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কলারোয়ার ১৮ শতকের মঠবাড়িয়ার নবরত্ন মন্দিরে(১৭৬৭) দূর্গা পূজা হত বলে লোকমুখে শোনা যায়। ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে আছে দুই ধরনের স্থাপত্যরীতি মন্দির। প্রাচীনত মাটি পঞ্চরত্ন দেবী দূর্গার যা সংস্কারের ফলে মূল চেহেরা হারিয়েছে। মন্দিরের প্রাচীন গঠনশৈলী বৌদ্ধ মন্দিরের মত। ধারণা করা হয়, দশম শতকে এখানে বৌদ্ধ মন্দির ছিল যা পরে সেন আমলে হিন্দু মন্দির হয়েছিল এবং ১১শ বা ১২শ শতক থেকে এখানে কালী পূজার সাথে দূর্গা পূজাও হত। ইতিহাসবিদ দানীর মতে, প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে রমনায় কালী মন্দির নির্মিত হয়েছিল এবং এখানেও কালী পূজার সাথে দূর্গা পূজাও হত। যদিও ইসলামিক আগ্রাসনের ফলে ঢাকার রমনা কালীবাড়ি আজ আর নেই এবং যে ঢাকেশ্বরী বিগ্রহের নামে ঢাকা শহর, সেই বিগ্রহটিও এখন কলকাতাতেই এনে রাখা রয়েছে।

Friday 29 September 2017

কোরান ও নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন জিনিস সহ সকল ধর্মীয় জিনিসপত্র পুলিশ বা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করার জন্য চীনে বসবাসকারী মুসলিমদের আদেশ দেওয়া হয়েছে অথবা তারা কঠোর শাস্তি ভোগ করবে।
রেডিও ফ্রি ইস্যু অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াংয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের একজন মুখপাত্র Dilxat Rakshit বলেন, কাশগার, Hotan এবং অন্যান্য অঞ্চলে মানুষ যে সমস্ত উইঘুর মানুষ ইসলাম সম্পর্কিত আইটেম হস্তান্তরিত করা উচিত ছিল।
নোটিফিকেশনগুলি সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে WeChat, মানুষকে বলছে যে তাদের উচিত সরকারের কাছে আইটেমগুলি হস্তান্তর করা। কর্তৃপক্ষ।
কোরান গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে কারণ তারা 'চরমপন্থী উপাদান' ধারণ করতে সম্মত হয়েছে।
উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্ট সম্প্রতি বলেছে যে এটি প্রাইভেট ধর্মীয় জীবনে প্রবিধানের অহংকারে উদ্বিগ্ন এবং নতুন ব্যবস্থাগুলি যে ধর্মীয় বিশ্বাসকে রাষ্ট্রীয় সন্দেহভাজন হিসেবে গণ্য করা উচিত তার মধ্যে প্রত্যাখ্যানের প্রত্যাখ্যান করে। 
 

Thursday 28 September 2017

দেবী দূর্গার মাথা নেই, দেশ কিভাবে অসাম্প্রদায়িক?, বিজেপি নেতার প্রশ্ন


ওয়েবডেস্কঃ- মূর্তিভাঙ্গা উৎসবে এবারেও মেতে উঠেছে বাংলাদেশ। একের পর দুর্গা মূর্তিকে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়ে সেদেশের সংখ্যাগুরুরা প্রমাণ করতে মরিয়া যে, এই দেশে সংখ্যালঘু হওয়া অপরাধ। আর এসবের মাঝেই একরকম বাধ্য হয়েই মুখ খুললেন, সে দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য লড়াই করা বিজেপি(বাংলাদেশ জনতা পার্টি) নেতা শ্রী মিঠুন চৌধুরী। কি এমন বলেছেন বিজেপি নেতা মিঠুন বাবু যার ফলে গোটা বাংলাদেশে হৈ চৈ পরে গেছে?
ওনার  পুরো লেখাটাই নিচে তুলে ধরা হোল,
যে দেশে দেবী দূর্গার মাথা থাকে না, সেই দেশ কিভাবে অসাম্প্রদায়িক হয়?


কি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বসবাস করছি অামরা? যেন প্রেমের মিলন!! এখন কি বলবেন রানা দাস গুপ্তের মত নেতারা? কেন দেবী দূর্গার মাথা নেই? এত নিরাপত্তার মধ্যেও যদি এমন অবস্হা হয় তাহলে হিন্দুরা যাবে কোথায়? এসবের প্রতিবাদ করলেই অামরা সাম্প্রদায়িক? অার কত কাল হিন্দু জাতীর মাথায় কাঠাল ভেংগে খাবেন অাপনারা? জেনে রাখা ভাল, বাংলাদেশে যে কোন বড় হিন্দু উৎসবের জন্য অধিকাংশ সময়েই বিশেষ ভাবে পুলিশের অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়ে। 

মিঠুন চৌধুরী

দৈনিক প্রথম অালো ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সংবাদের মন্তব্যে এক হিন্দুত্ববাদী নেতার কথা শুনে মনে হল ঐ নেতা বিশ্ব হিন্দুপরিষদ ও ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলাদেশে কিছু করতে হলে উনাকে জিজ্ঞেস করতে লাগবে! তাহলে এপ্রিল থেকে ১লা জুলাই পর্যন্ত ইন্ডিয়াতে যে সমস্ত কর্মসূচি তাঁদের সহযোগিতায় করছি তা পুরাপুরি মিথ্যে? ইন্ডিয়ার প্রচার মাধ্যম তাহলে মনে হয় খুব বোকা?! অামাকে নিয়ে এত প্রচার করলো!! ভাবতে অবাক লাগে এত হিংসাত্নক জাতি অামরা! মার খেতে খেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে তবুও পরনিন্দা, পরচর্চা গেল না! পৃথিবীর কোন দেশে সামাজিক সংগঠন করে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে ! সবাই কে রাজনীতি করতে হবে এমন কোন কথা নেই! তবুও বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠের সাথে অামরা কথা বলে, সবার ইতিবাচক সম্মত্তি দেওয়ার পর বাংলাদেশ জনতা পার্টি(বিজেপি) রাজনৈতিক দল ঘোষনা করেছি। দেখছি এবং সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি! কে কি বলতে পারে এবং কত দূর যেতে পারে ?


অামাদের মাঝে কিছু সংগঠন অাছে ওদের কাজ হচ্ছে শুক্রবারে প্রোগ্রাম করা ! শুক্রবারে সবাই বেকার! বেশী লোক দেখানো যায়! অাপনারা জানেন মহাভারতে পঞ্চ-পান্ডব মাত্র ভাই পাঁচ ভাই ছিল। সেই পাঁচ ভাই অত্যাচারী দুর্যোধনের শত ভাইকে পরাস্ত করে রাজ্য জয় করেছিল। বাংলাদেশ জনতা পার্টি( বিজেপি) সে রকমই কিছু। সময়েই দেখবেন।


বাংলাদেশ জনতা পার্টি ( বিজেপি)র কি ক্ষমতা বা অামাদের সাথে কে কে অাছে ? সব প্রকাশ করলে তো অামাদের কৌশলেই শেষ ! আর এটাই রাজনীতি ! যখন সারা দেশে বাংলাদেশ জনতা পার্টিকে নিয়ে রীতিমত হই চৈই ! তখন অামাদের কিছু হিন্দু নেতার বাচালতা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অালোচনা সমালোচনা যাই করো না কেন ? নতুন চেতনায়, নব সূর্যে অাসছে বিজেপি। অালো যেমন দিবে অন্যায়কারী ও দালালদের জ্বালিয়েও দিবে। সেই ভয় কিন্ত অনেকেরই অাছে ! অামাদের লজ্জা থাকা উচিত গণহারে সারাদেশে মুর্তি ভাংচুর হচ্ছে। জমি জবর দখল হচ্ছে। হিন্দু মেয়েরা বেশী ধর্ষিতা হচ্ছে। অামরা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে চাই। অামাদের সহযোগিতা করবে তো দূরের কথা উল্টু হিন্দু নেতারা কঠোর সমালোচনা করছে। তাহলে এসব নেতারা কি চায় না অামাদের অবস্থার পরিবর্তন হোক? অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক?


বাংলাদেশ জনতা পার্টি ( বিজেপি) সতেরো কোটি লোকের জন্য রাজনৈতিক দল। অামার জাতি সত্বাকে রক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যদি অামি সাম্প্রদায়িক হই। অামি গর্বিত। যদি নির্যাতিত, নিস্পেষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অামার ফাঁসি হয়, অামি হাসতে হাসতে ফাঁসির রশ্নি গলায় নেব তবুও জাতীর সাথে বেঈমানী করব না। এ অামার অঙ্গিকার।।


।। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক ।।


মিঠুন চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটি
বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি)
ঢাকা, বাংলাদেশ। 
২৭-০৯-১৭

Wednesday 27 September 2017

কেন মা দুর্গার সঙ্গে আরও ৪ জন দেবদেবীর পূজিত হয়।


ওয়েবডেস্কঃ-  মা দুর্গার আগমন ঘটে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীর সঙ্গে। কিন্তু কেন? কেনই বা মা দুর্গার পুজা সমগ্র রাষ্ট্র পূজনও বলা যেতে পারে? আমরা যদি সাধারণ ভাবে বলি মা বাপের বাড়ি ঘুরতে এসেছেন, তাই তার ছেলে মেয়ে দেরও নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এই ভাবনা কি ঠিক?  কখনো ভেবে দেখেছেন মা দূর্গার সাথে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীর আগমন কেনো হয় বা এই আগমনের তাৎপর্যটা আসলে কি? কি বলছে আমাদের হিন্দু শাস্ত্র? এ নিয়ে মহান গ্রন্থ বেদে কি বলা হয়েছে?
 প্রাচীন ভারতীয় সমাজে নারীদের সন্মান ছিল অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রে তাদের পুরুষের থেকেও উপরে স্থান দেওয়া হত। পরাধীনতার দীর্ঘ ইতিহাস থাকা সত্যেও এই প্রাচীন সংস্কৃতির ছোঁয়া আজও কিন্তু ভারতীয় হিন্দু সমাজে বর্তমান। তাই এখনো আমদের দেশ, মাতৃ রুপেই পূজিত হয়, পিতৃরূপে নয়। আমরা পৃথিবীকেও ধরিত্রীমাতা হিসাবেই মনে করি। অর্থাৎ নারী রুপে।

  ঋগবেদের মাতৃশক্তি বন্দনায় বলা আছে,"অহং রাষ্ট্রী(আমি রাষ্ট্রের স্বামিনী বা রক্ষক)", পূর্ণ অর্থে আমিই রাষ্ট্র। গণেশ 'শুভশক্তি'/শুভমুহুর্ত তথা সিদ্ধিদাতার প্রতীক। সরস্বতী হলো বিদ্যা-সঙ্গীত-সংস্কৃতির প্রতীক। লক্ষ্মী ধনসম্পত্তির প্রতীক এবং কার্তিক সেনাবাহিনীর শৌর্যতার প্রতীক। অর্থাৎ কোন রাষ্ট্রকে বিশ্বশক্তি হতে গেলে শুভবুদ্ধি /জ্ঞানবান তথা শুভ মুহুর্ত, ধনবান, বিদ্যবান-সংস্কৃতিবান এবং অবশ্যই এই সব কিছুতে রক্ষা করার জন্য পরাক্রমি সেনার প্রয়োজন হয়। মা দুর্গার তার সন্তানদের সঙ্গে আগমন সেই বিষয়কেই ইঙ্গিত করে। আর তাই মা দূর্গার সাথে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীর পুজা করাটা আসলে একটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের পুজা করার সামিল।

 



ধন্যবাদঃ- শ্রী জিষ্ণু প্রসাদ সেন

Monday 25 September 2017

দলত্যাগী মুকুল রায়-কে সাসপেন্ড করলো তৃণমূল

ওয়েবডেস্কঃ- পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী মুকুল রায় গতকাল সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন খুব দ্রুতই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দেবেন। তৃণমূল গড়া থেকে এখন অবধি তৃণমূলের সঙ্গী ছিলেন এই মুকুল রায়। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস ভেঙে জন্ম হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। মুকুল রায় এখনো পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সাংসদ। মমতার পরই স্থান ছিল তাঁর দলের ভেতর। খুচরা ব্যবসায়ে বৈদেশিক বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে তৎকালীন মনমোহন সিং সরকারের সঙ্গে বিরোধ বাধলে মমতা ইউপিএ সরকার ছাড়েন। তখনই চলে যায় মুকুল রায়ের রেলমন্ত্রিত্ব।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে মুকুল রায় নিজাম প্যালেসে এক প্রেস কনফারেন্সে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা দেন। একই দিন দুপুরে আরেকটি প্রেস কনফারেন্সে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল বিরোধী কাজের জন্য মুকুল রায়কে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কারও করেন।

সারদা অর্থ কেলেঙ্কারি, নারদ ঘুষ কেলেঙ্কারিতে বারংবার উঠে আসে মুকুল রায়ের নাম। এর পরেই বহুবার বিজেপি এবং কংগ্রেসের উচ্চনেতৃত্বের সঙ্গে ঘনঘন মুকুল রায় যোগাযোগ করতে থাকেন। এতে মমতা অস্বস্তিতে পড়েন। এর জেরেই কার্যত মমতার সঙ্গে মুকুল রায়ের দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। তৃণমূল ছাড়ার কারণ হিসেবে মুকুল রায় বলেন, পূজার পর তিনি রাজ্যসভার সদস্যপদে ইস্তফার দিন তিনি বিস্তারিত জানাবেন। কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি দলের সাধারণ সদস্যপদ ছাড়বেন।

এর ফলে বিজেপি-তে মুকুল রায়ের যোগদানের জল্পনা বাড়তে শুরু হয়ে গিয়েছে, যদিও এই খবরকে ঘুর পথে নাকচ করে দিয়েছে মুকুল রায়। বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং-ও জানিয়েছেন বিজেপির তরফ থেকে কোন রকমের প্রস্তাবই মুকুল রায় কে দেওয়া হয়েনি। এখন দেখার বিষয় জল কোন দিকে গড়ায়ে।

Sunday 24 September 2017

পূজার কদিন রাজনীতি বন্ধ করুক মমতা, আবেদন অধীর চৌধুরীর



ওয়েবডেস্কঃ- স্বাধীন ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে বাঙ্গালীর সব থেকে বড় পূজা নিয়ে যে এমন দিন দেখতে হবে তা মনে হয় কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। ২০১১ সালে মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রায়ে নিয়মিত দুর্গাপূজার ভাসান নিয়ে কিছু না নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের তরফ থেকে। আর এই নির্দেশিকাতে যে হিন্দু সমাজের মধ্যে ক্ষোব জন্মাচ্ছে সেটা গত বছর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, যখন সম্ভবত প্রথমবার প্রশাসনের দুর্গাপূজা ভাসান নিয়ে নির্দেশিকার বিরদ্ধে কোর্টে মামলা করা হয়। সেই মামলাতে মমতা সরকারের মুখ পুড়েছিল। 

  তবে তার থেকে শিক্ষা না নিয়ে এই বছরও মমতা সরকারের প্রশাসন আবার এমন এক ভাসান নির্দেশিকা জারি করে যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষামোদ করার অভিযোগও করে প্রচুর পশ্চিমবঙ্গবাসী। আবার বিষয়টা গড়ায়ে কোর্ট অবধি। গতবারের মতো এই বারেও মুখ পোড়ে রাজ্য প্রশাসনের। মামলাতে হেরে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বললেও পিছিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

  এসবেরই মধ্যে মুখ খোলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের এই রাজ্যের মুখ, শ্রী অধীর চৌধুরী। ফেসবুক মারফৎ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তিনি আবেদন করে বলেছেন,"পুজোর কদিন রাজনীতি বন্ধ করে, সব ধর্ম বর্ণের মানুষকে একসাথে আনন্দ করার সুযোগ দিন"।

ফেসবুকে করা ওনার পোষ্টটি নিচে দেওয়া হল,



রাষ্ট্রসংঘে ভারত বিরোধিতায় মিথ্যার আশ্রয় নিল এই ইসলামিক দেশ



ওয়াবডেস্কঃ- একদিকে কাশ্মীরে পাকিস্তানের মদতপুস্ট ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মারছে ভারতীয় সেনা। অপর দিকে রাষ্ট্রসংঘে ভারতীয় প্রতিনিধিরা তৈরি করছে প্রবল কূটনীতিক চাপ। ভারতের এই সাঁড়াশি আক্রমণে রীতিমত দিশেহারা পাকিস্তান। কয়েকঘন্টা আগেই শ্রীমতী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেছেন। আর এদিন ভারতকে জবাব দিতে গিয়ে মারাত্বক ভুল করে ফেলল রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি। 

  গাঁজাতে ইজরায়েলের কাছে আক্রান্ত হওয়া এক মহিলার ছবিকে দেখিয়ে, কাশ্মীরে ভারতীয় পুলিশের কাছে আক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন। গাঁজার বাসিন্দা এই মহিলার ছবিকে কাশ্মীরীর ছবি বলে প্রচার করা, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের এই প্রতিনিধির নাম মাহেলা লোধি। এই পাকিস্তানি মহিলা প্রথম একজন জীবনে সাংবাদিক ছিলেন। একজন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত মহিলার এই ধরণের মিথ্যা প্রচারের ফলে সকলেই অবাক। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে The Guardian পত্রিকাতে গাঁজা অঞ্চলের ঐ মহিলার ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল।
The Guardian-সেই পোষ্ট
  যদিও এই ঘটনার পর কোন হেলদোল নেই পাকিস্তানি প্রশাসনের। শুধু নিজের রাষ্ট্রেই নয়ে, আন্তর্জাতিক স্তরেও বারংবার মিথ্যা প্রচার করে মুখে চুন কালি মাখিয়েও কোন লজ্যা হয়েনি ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের। তবে এই ঘটনা সকলের সামনে এনে দিল এক চূড়ান্ত সত্য। মোদি প্রশাসনের নির্দেশে চলা ভারতের সাঁড়াশি আক্রমণে, ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তান এখন পুরোপুরি দিশেহারা।

কাশ্মীরে আবার জিহাদি মারলো ভারতীয় সেনা


ওয়েবডেস্কঃ- ফের একবার পাকিস্তান জিহাদিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল ভারতীয় সেনা। কাশ্মীরের উরি সেক্টরে ভারতে অনুপ্রবেশ করা এক জিহাদি-কে হত্যা করা হয়েছে। সেনার রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি একদল জিহাদিদের উপর নজর রেখেছিল সেনারা। তারা ভারতে ঢুকতেই উরি সেক্টরের কালগী অঞ্চলে জিহাদিদের বিরুদ্ধে অভিজান চালায়ে সেনা। সেখানেই এক জিহাদি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, মনে করা হচ্ছে আরও তিন জিহাদি ওখানে আটকে রয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনা বাহিনীর তরফ থেকে কোন ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া জায়েনি।

  রাষ্ট্রপুঞ্জ শ্রীমতী সুষমা স্বরাজ নিজের বক্তৃতায়, (মুসলিম) জঙ্গি সংগঠন গুলো পাকিস্তান থেকে অবিরাম সহায়তা পাচ্ছে বলে উল্লেখ করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরের এই অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্য-পূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।



  মাত্র দু'দিন আগে গজনফার এবং আরিফ নামের দুই জিহাদিকে তাদের হাতিয়ার সমেত গ্রেপ্তার করা হয়ে। এরা দুজনেই কাশ্মীরের "স্বসস্ত্র সীমা বল" বা SSB -র ক্যাম্পে হামলাতে অভিযুক্ত।

Saturday 23 September 2017

দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় এর এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এর বিরুদ্ধে পুলিশে FIR করা হলো



দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দয়াল সিং কলেজের ভার প্রাপ্ত এসিস্টেন্ট প্রফেসর কেদার কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে এফআইআর করলো। সম্প্রতি ওনার একটি ফেসবুক পোস্টে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করা হয়। উনি হিন্দু ধর্মের দেবী দুর্গার সমন্ধ্যে অশালীন মন্তব্য করে একটি পোস্ট করেন ফেসবুকে।



আর তাঁর জেরেই ওনার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে এই নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি, আর আশাকরি পাওয়া ও যাবেনা। দেশের আইনের ওপর ভরসা রেখে ওনার উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। এবং ওনাকে ওনার পদ থেকে অপসারিত করা হোক, কারণ একজন শিক্ষক যদি এরকম সাম্প্রদায়িক মনোভাব রাখেন, তাহলে সেই সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছাত্রছাত্রীদের ওপর ছড়াতে বেশি সময় লাগবে না।

Friday 22 September 2017

কেন বন্ধ হতে চলেছে মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপূজা ??

 ওয়েবডেস্কঃ- মাতৃপক্ষ শুরু হয়ে এক সপ্তাহ হতে চলল। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় সমগ্র বাঙ্গালী জাতিই মেতে উঠবে হিন্দুর দুর্গাপূজা এবং সেকুলারদের শারদোৎসবে। চলবে প্যান্ডেল হপিং। থিমের পূজা গুলোর মধ্যে চলবে সেরার লড়াই। কেউ কেউ সমাজের খারাপ দিক বা খারাপ কোন ঘটনাকে তুলে ধরবে নিজেদের থিমে। কারুর থিম হবে কোন মন্দির বা স্থাপত্য।

  আর ঠিক এইসব করতে গিয়েই বন্ধ হতে চলেছে উত্তর কলকাতার অন্যতম সেরা মহম্মদ আলি পার্কের পূজা। কারণ তারাও তাদের থিম তৈরি করেছে এক সত্য ঘটনার উপর। তাদের থিম অনুযায়ী অসুরের জায়েগাতে স্থান পেয়েছে ডাক্তার চিকিৎসকদের। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আপত্তি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা৷

  News 18-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ বিনায়ক চন্দ জানান, পুজো বন্ধ করে দেওয়ার তাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই ৷ তবে যদি শনিবারের মধ্যে মূর্তি সরিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া হয়, তাহলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে৷
  তবে পুজো কমিটির থেকে জানানো হয়েছে যে গোরখপুরের ঘটনা মাথায় রেখেই এই থিম ঠিক করা হয়েছিল৷ কাউকে আঘাত করার তাদের উদ্দেশ্য ছিল না৷ গোরখপুরের কিছু চিকিৎসকদের গাফিলতিতে যে ভাবে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল, চিকিৎসা-কে ব্যবসা বানানো সেইসব চিকিৎসকদেরকেই এই পূজাতে মহিসাসুর-স্বরুপ দেখানো হয়েছে। আর এতেই একপ্রকার আঁতে ঘা লেগেছে কিছু চিকিৎসকের। জার ফলে এখন এই পুজোর ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে৷

চার দশক ধরে, নবরাত্রিতে শুধুমাত্র জল খেয়েই কাটান মোদী



নিজ ধর্ম পালনে সবসময়ই বিশেষ নজর রাখেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, বিদেশে গেলে মন্দির দর্শন থেকে শুরু করে, বিশ্ব নেতাদের গীতা দান করা পর্যন্ত সবই করেছেন শ্রী মোদী।


গতবছর নবরাত্রিতে মার্কিন মুলুকে ছিলেন শ্রী মোদী, কিন্তু ওখানে গিয়েও নিজের পরম্পরা ভুলে যাননি উনি, নবরাত্রির কদিন শুধুমাত্র জল খেয়েই কাটিয়েছিলেন উনি। আর এরজন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওনার ওপর খুব খুশিও হন, এবং ঘটা করে দীপাবলির অনুষ্ঠান হোয়াইট হাউসে পালন করেন উনি এবং বৈদিক মন্ত্র জপ করেন , যেটা আগে কোনোদিনও হয়নি।


মাননীয় এপিজে আবদুল কালামের স্মরণে উড়িষ্যায় উদ্বোধন হলো সাইন্স পার্ক



প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং দেশের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী শ্রী আবদুল কালাম এর স্মৃতিতে উড়িষ্যার সম্বলপুর জেলার বুরলাতে উদ্বোধন হলো APJ ABDUL KALA সাইন্স পার্ক এবং APJ ABDUL KALAM তারামন্ডল।



উড়িষ্যার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নবীন পাট্টানায়ক এই পার্কের উদ্বোধন করেন, এবং এই পার্কে ঘোরার জন্য একটি সিটি বাস পরিসেবাও চালু করেন শ্রী নবীন পাট্টানায়ক।


রাজস্থানে ধর্ষিত ১৮ বছরের ছাত্রী




ওয়েবডেস্কঃ-  রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের থেকে ১১৪ কিলোমিটার দূরে সিকার গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলে ক্লাস ১২-র একটি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক ১৮ বছর বয়েসী ছাত্রী একজন স্কুল শিক্ষকে এবং স্কুলটির মালিককে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে বলেছে তারা বিগত দুই মাস ধরে তার সঙ্গে অনবরত ঐ কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

 জানা গেছে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকেরা অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার সময় শিশুটিকে ধর্ষণ করতেন। এই ধর্ষণের ফলে যখন শিশুটি গর্ভবতী হয়েছিলেন, তখন তিনি তার পরিবারকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন, যেখানে শিশুটিকে গর্ভপাতের জন্য বাধ্য করা হয়েছিল।

সিকর পুলিশের সুপার ভিনিট কুমার জানিয়েছেন,"আমরা ঘটনার তদন্ত করে সব কিছুই বের করার চেষ্টা করছি"। এই জন্য স্কুলের অভিযুক্ত শিক্ষকদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিক্রি হয়ে গেলো NDTV



অজয় সিং স্পাইস জেট এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এর আদেশে চলবে এখন NDTV. তিনি প্রায় ৪০% শেয়ারের মালিক হয়ে গেলেন, এবং NDTV এর প্রমোটার্স প্রণয় রয় আর রাধিকা রয় এর কাছে পরে রইল মাত্র ২০% ।

প্রসঙ্গত প্রণয় রায় প্রকাশ কারাটের নিকট আত্মীয় হওয়ার জন্য সবাই NDTV কে বাম এবং কংগ্রেস ঘনিষ্ট নিউজ চ্যানেল বলেই জানে। কিন্তু এখন অজয় সিং আসার পর সেই বাম ঘনিষ্ঠতা হয়তো আর দেখাতে পারবেনা NDTV. কারণ অজয় সিং হলেন মোদী ভক্ত, আর তিনিই ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে " আব কি বার, মোদী সরকার " স্লোগানটি তৈরি করেছিলেন।

NDTV এর এরকম ভাবে বিক্রি হওয়ার পর, টুইটারে এনডিটিভির নিউজ এঙ্কর " রাবিশ কুমার " কে নিয়ে নানা রকম হাসি ঠাট্টা হতে শুরু করে।




Thursday 21 September 2017

কথা রেখেছে মোদি, হয়েছে ৫.৫ কোটি কর্মসংস্থান


ওয়েবডেস্কঃ- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুদ্রা যোজনা (পিএমএমওয়াই) নামক এক যোজনা চালু করেছিলেন দেশের ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই যোজনা মাত্র দু'বছরেই ৫.৫ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। মূলত শিল্পে উন্নত রাজ্য গুলোতেই অধিকাংশ কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রের মতো শিল্পে উন্নত রাজ্য গুলোর মানুষেরাই পিএমএমওয়াই'র সবচেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারি।

  ৮ এপ্রিল ২০১৫, তে মুদ্রা স্কীমটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চালু করেছিলেন, যার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল ব্যবসা করতে চাওয়া পুঁজি হীন উদ্যোগীদের পুঁজির জোগান দেওয়া। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায়ে ৮ কোটি মানুষকে ৩.৪২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বেশিরভাগই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এই ঋণ দেওয়া হয়েছে। ফিনান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কোচ নামক একটি সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।

  উপকৃত এই মানুষদের অধিকাংশই এমন, যারা আগে কোনদিন কোন ধরণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতই ছিল না।০ লাখ টাকা পর্যন্ত অ-কৃষিজ কার্যক্রমের জন্য মুদ্রা ঋণ পাওয়া যায়। কৃষিকার্যের সঙ্গে যুক্ত দুগ্ধ, হাঁস, মৌমাছি পালন প্রভৃতি শিল্পের জন্যেও এই লোন পাওয়া যায়ে।

সন্তানসম্ভবা ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম, প্রবল চাপে বাংলাদেশ


ওয়েবডেস্কঃ- মানবিকতা দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েও নিস্তার নেই বাংলাদেশের। উদ্বাস্তু হয়েও প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম নারী সন্তান-সম্ভবা। কক্সবাজারের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে গত কয়েক দিনেই প্রায়ে ২০০ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে। এই হিসাবে এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় আট থেকে দশটি করে শিশুর জন্ম দিচ্ছে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা মুসলিম নারীরা। এইভাবে চলতে থাকলে আর মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই প্রায়ে ১ লক্ষ নবজাতকের দায়িত্ব এসে পড়বে দরিদ্র বাংলাদেশের সরকারের উপর। বিষয়টি অত্যন্ত চিন্তার। কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাওয়া এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের একাধিক পত্রিকা।

  কক্সবাজার জেলার ফ্যামিলি প্ল্যানিং দপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. পিন্টু ভট্টাচার্য বলেছেন,"উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, ইনজেকশন ও কনডম বিতরণ কর হয়েছে। অন্তত দেড়শ নারীর মধ্যে ঐ জন্মনিরোধক বড়ি ও পঞ্চাশ জনের মতো পুরুষের মধ্যে কনডম বিতরণ করা হয়েছে। তিন মাসের বন্ধ্যাকরণ ইনজেকশনও প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা মুস্লিমদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রন করার ইচ্ছা একেবারেই নেই।" বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে তাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সরবরাহ করা হলেও, অশিক্ষিত ধর্মীয় কু-সংস্কারাচ্ছন্ন হওয়ার ফলে তারা এসব ফেলে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগেরই কর্মীরা।

  ডা. পিন্টু ভট্টাচার্য আরও জানিয়েছেন,"রোহিঙ্গারা এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। সরকারের তৈরি ক্যাম্পে তাদের একসঙ্গে রাখা হলে এবং নিবন্ধন কার্য শেষ হলে আমরা পুরোদমে এই কর্মসূচি হয়েতো বাস্তবায়িত করতে পারব। তখন স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিও প্রয়োগ করা যেতে পারে।" ২৬ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিশু। তবে প্রসূতির সংখ্যাও অনেক। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর চাপের পাশাপাশি অনাগত এই বিপুল সংখ্যক শিশুর ভরণ-পোষণের দায়িত্বও চাপতে যাচ্ছে বাংলাদেশের কাঁধে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে এসব নারী ও শিশু মারাত্মক অপুষ্টির শিকার। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আনতে পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এজন্য রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন ও ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণের কথা জানান জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম।

  রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, আগত মধ্যবয়সী নারীরা প্রায়ে প্রত্যেকেই ১০ থেকে ১২টি সন্তানের মা। এর চেয়ে কমবয়সীদেরও রয়েছে অন্তত চার থেকে পাঁচটি সন্তান। এমনকি ১২-১৩ বছর বয়সী বিবাহিতদেরও একটি করে শিশু রয়েছে। ঐ বয়সী অনেকেই এক বাচ্চার মা হওয়া সত্যেও সন্তান-সম্ভবা। এরা প্রত্যেকেই অশিক্ষা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কু-সংস্কারাচ্ছন্ন হওয়ার ফলে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় অভ্যস্ত নন। তাদের সঙ্গে কথা বলে অন্তত এমনটাই জানা গেছে।

বিসর্জন তর্জার পরেও হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির ছোঁয়া এই দুর্গাপুজাতে

ওয়েবডেস্কঃ- দুর্গাপুজা বা সেকুলার- নাস্তিকদের শারদ উৎসব আসলে সামগ্রিক ভাবেই বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এ কোন এক নির্দিষ্ট ধর্মের পুজা বা উৎসব নয়ে, এ হল গোটা বাঙালি জাতীর প্রধান পুজা বা উৎসব। তাই এখানে সবাই সন্মান পায়ে সমান ভাবে। কোথাও যেমন মুসলমান উদ্যোগতারা এই দুর্গাপুজা করে, কোথাও বা মুসলমান পুরহিত দিয়েই দুর্গাপুজা করানো হয়। দুর্গাপূজাতে যা সম্প্রীতির নজির দেখা যায়ে তা মনে হয়ে বাঙ্গালির আর কোন পুজা বা উৎসবে দেখা যাবে না। এবছর এমনই এক সম্প্রীতির নজির দেখাতে চলেছে রূপচাঁদ মুখার্জি লেনের দুর্গাপুজা। তাদের থিম পুজাকে সাজিয়ে তুলবে এক মুসলিম পটশিল্পী।

  যে রাজ্যে দুর্গাপূজার বিসর্জন নিয়ে বিভেদের রাজনীতি চলছে, সেখানে এমন এক ছকভাঙা প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু কেন এরকম ভাবনা? আসলে এ পুজো কালীঘাটের বেশ কাছেই। অর্থাৎ মুখ্য-মন্ত্রীর বাড়ি থেকে খুব একটা দূড়ে নয়ে। শিল্পী পিয়ালী সাধুখাঁ জানাচ্ছেন, এবারের পুজোয় কালীঘাটের পটশিল্পের প্রয়োগ করার ভাবনা ছিল তাঁর। পট এখনও বহু দেখা যায় বটে, কিন্তু তা মূল ধারার সস্তা সংস্করণই বলা যায়। এমন শিল্পীর খোঁজ চলছিল যাঁর কাজে অন্তত মূলধারার ছোঁয়া আছে। আর তা খুঁজতে খুঁজতেই তিনি পেয়ে যান স্বর্ণ চিত্রকরকে। কিন্তু তাঁরা মুসলমান। যদিও তাদের কাজে অভিভূত হন শিল্পী ও উদ্যোক্তারা। ঠিক যে জিনিসের খোঁজ ছিল, তাই সাজানো স্বর্ণ চিত্রকরের ঘরে। তারপরই তাঁর পটচিত্রে মণ্ডপ সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। থিমের নামও দেওয়া হয় ‘স্বর্ণ-চিত্র’।

এমন ভারত প্রেম শুধু বাঙ্গালীই দেখাতে পারে

বিগত সাত বছর ধরে জাতীয় পতাকাকে স্যালুট জানাতে আসে এই ব্যক্তি, কারণ জানতে পেরে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ।

বেশ কয়েক বছর ধরে জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীত নিয়ে ভারতীয় দের মধ্যে সম্মানের ঘাটতির জন্য, ভারত সরকার এবং সুপ্রীম কোর্ট দেশের প্রত্যেক সিনেমাহলে সিনেমা শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংগীত চালানোর নির্দেশিকা শুরু করে, এবং জাতীয় সংগীত চলাকালীন সিনেমা হলে উপস্থিত প্রত্যেকের জাতীয় সংগীত কে সন্মান জানিয়ে দাঁড়ানোর আবেদন করে।

এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন হলো, নিজের দেশের জাতীয় সংগীতকে সন্মান জানানোর জন্য মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এবং সরকারকে এরকম পদক্ষেপ কেন নিতে হলো? আমাদের ভারতীয়দের কি দেশের প্রতি কোনো আবেগ নেই আর?

আমরা এরকম অনেক ঘটনাই শুনেছি, যেখানে কোনো এক ব্যক্তি জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীতের অপমান করেছে, এবং সেটা নিয়ে অনেক বড় ঝামেলাও সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে আজকাল তিরঙ্গার সামনে নমন করার প্রবণতা অনেক কমে গেছে। মানুষের এখন জাতীয়তাবাদী হওয়া পছন্দ হচ্ছেনা, তাদের কাছে জাতীয়তাবাদী এখন ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে।

জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া এবং জাতীয় পতাকার সন্মান করা কিন্তু মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়, কিন্তু আজকাল কোথাও রাষ্ট্র্গান বেজে উঠলে অনেকেই দাঁড়াতে চাননা। কিছু কিছু মানুষ তো এমনও আছে, যাঁরা অন্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, তাঁদের নজরান্দাজ করে সেখান থেকে চকে যায়। এরকম সময় যখন জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকার ওপর মানুষের সম্মান কমে আসছে, তখন এই মানুষটি আমাদের সামনে জাতীয়তাবাদের এক জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত কায়েম করলো।

আমরা এমন একজন মানুষের কথা বলছি, যে বিগত সাত বছর ধরে বিধানসভার সামনে জাতীয় পতাকাকে স্যালুট করে জাতীয় সংগীত গায়।
হীরালাল সামন্ত নামে এক ব্যক্তি রোজ সকাল 9:30 এ পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট করে জাতীয় সংগীত গায়, হীরালাল বাবু হজরতগঞ্জের এক হোটেলে কাজ করেন, লোকে ওনাকে " বাঙালি বাবু " ও বকে ডাকে। হীরালাল এর সাত বছর ধরে এই কাজ করার একটাই উদ্যেশ্য সেটা হলো, উনি এরকম করে দেশের যুব সমাজের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ফিলিংস আনতে চান।

হীরালাল বাবু বলেন, আমরা অনেক কষ্টে স্বাধীনতা পেয়েছি, আমাদের উচিত সেটার সন্মান করা। হীরালাল এর মধ্যে এই ভাবনা একটি সিনেমাহলে গিয়ে এসেছিল, আর তাঁর পর থেকে উনি রোজই এরকম করে আসছেন।

পশ্চিমবঙ্গের হাবরা এক ছোট গ্রামের বাসিন্দা হীরালাল, 2010 থেকে এই কাজ করে আসছেন। হীরালাল এর অনুসারে প্রথমে যখন উনি তিরঙ্গার সামনে স্যালুট করে জাতীয় সঙ্গীত গাইতেন, তখন ওনাকে দেখে অনেক পুলিশই অবাক হয়ে যেত, অনেকবার পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতো, আমি কেন এমন করছি? কিন্তু যখন পুলিশ জানতে পারলো আমি কেন এমন করছি, তখন ওরা আমাকে বাহবা দিত, আর আমাকে এরকম করতে দেখে সবাই বলতো বাঙালি বাবু ভালো কাজ করছে। 

Wednesday 20 September 2017

সিপিএমের রাজ্যে প্রকাশ্যে কোপানো হল সাংবাদিক কে


ওয়েবডেস্কঃ- দেশে একের পর সাংবাদিকদের হত্যা হয়েই চলেছে। এবার সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হল বামদল শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায়। খবর সংগ্রহে গিয়ে বাধা মুখে পড়েন ত্রিপুরার দিনরাত চ্যানেলের সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক। ঘটনাস্থলেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দাঙ্গা কারিরা। সঙ্গে সঙ্গে ওনাকে আগরতলা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

শান্তনু ভৌমিক
  ত্রিপুরার আইপিএফটি এবং সিপিএমের আদিবাসী সংগঠন টিআরইউজিপির মধ্যে অশান্তি চলছে। তারই খবর সংগ্রহে গিয়েছিলেন শান্তনু। আইপিএফটি সমর্থকদের করা রাস্তা অবরোধ পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বছর আটাশের শান্তনু। এই সময়ই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় শান্তনুকে। 

  গত মঙ্গলবারেই কম করে বারোটি জায়গায় আইপিএফটি সমর্থক বনাম সিপিএমের ট্রাইবাল সংগঠন টিআরইউজিপির মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই চলে বলে জানা গেছে। ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকসহ কম করে ৬০ জন আহত হন, যাঁদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার জেরে পশ্চিম ত্রিপুরা এবং খোয়াইয়ের অনেক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বুধবার সেই ১৪৪ ধারা অমান্য করেই মান্দাইয়ে জমায়েত করে দুপক্ষ। সেই অশান্তির স্থলেই গিয়েছিলেন শান্তনু ভৌমিক। আর এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়েই দুষ্কৃতিদের হাতে নিহত হতে হল মাত্র আঠাশ বছরের যুবক শান্তনু কে।

এবার পদ্মফুল চিহ্নে বাংলাদেশেও ভোটে লড়বে বিজেপি


ওয়েবডেস্কঃ- এবার বাংলাদেশেও ভোটে লড়তে চলেছে বিজেপি। তাও আবার পদ্ম চিহ্নে। অবাক হওয়ার কিছুই নেই  ঠিকই পড়েছেন। ইসলামিক বাংলাদেশে শুধুমাত্র বিধর্মী হওয়ার অপরাধেই অত্যাচারিত হওয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা সংগঠিত হয়েই তৈরি করেছে এই রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি এবং সমমনা অর্ধশতাধিক সংগঠন নিয়ে গঠিত হল, বাংলাদেশ জনতা পার্টি বা বিজেপি। নতুন এই রাজনৈতিক দল প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছে পদ্মফুল। গতকালই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করেন দলের প্রেসিডেন্ট ও মুখপাত্র মিঠুন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মহাসচিব দেবাশিস সাহা, ঢাকা মহানগর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল সাহা, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ কৃষ্ণ কুরারী প্রমুখ।

  দলের মুখপাত্র মিঠুন চৌধুরী বলেন, অর্ধশতাধিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্তের স্বার্থে বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি) নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ পার্টির নির্বাচনী প্রতীক পদ্মফুল ও পদ্মফুলের নিচে দুটি হাত। তিনি জানান, ২০১৪ সালে সংখ্যালঘুদের জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি ছাড়াও এ দলে আছে মুক্তির আহ্বান, বাংলাদেশ সচেতন সংঘ, জাগো হিন্দু পরিষদ, আনন্দ আশ্রম, হিন্দু লীগ, সনাতন আর্য সংঘ, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ ঋষি সম্প্রদায়, বাংলাদেশ মাইনরিটি ফ্রন্ট, হিউম্যান রাইটস, হিন্দু ঐক্য জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন।

  সে দেশের অনেকই নব নির্মিত এই রাজনৈতিক দলটিকে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষার জন্যই তৈরি হওয়া দল বলে অভিহিত করেছেন। যদিও ভুল বলেনি ইসলামিক বাংলাদেশে বিধর্মীদের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একাধিক সংগঠনের সংগঠিত হয়ে এমন এক রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি হওয়া একেবারেই নজির বিহীন। তবে দেখার বিষয় হল যে দেশের অধিকাংশ মানুষই সাম্প্রদায়িক মনভাবাপন্ন, সে দেশে এমন এক রাজনৈতিক দল কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

Sunday 17 September 2017

গরীব গৃহহীনদের জন্য ৫ কোটি বাড়ি বানাচ্ছে মোদি সরকার




ওয়েবডেস্কঃ- কেউ আর গৃহহীন থাকবে না। গরীবদের জন্য বানানো হবে ৫ কোটি বাড়ি। ২০২২ সালের মধ্যেই এই ৫ কোটি বাড়ি বানানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এক সেমিনারে এ কথা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী  শ্রী নরেন্দ্র মোদি। 

  মোদি আরও বলেছিলেন, ‘প্রায় ২ কোটি মানুষ শহরে বাস করেন। আর বাকি ৩ কোটি মানুষ থাকেন গ্রামে। যাদের নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নেই। স্বাধীনতার এত বছর পরেও তারা গৃহহীন। তবে এবার সেই অবস্থা বদলাবে।
মোদি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মধ্যে ৫ কোটি বাড়ি বানানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে কাজ করবে। একইসঙ্গে গরীবদের জন্য বাড়ি বানানোর ওই প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’-য় অনেক কর্ম সংস্থানের সুযোগ হবে

  বিনা অসুবিধায় যাতে বহু মানুষ মোদির এই ফ্ল্যাগশিপ স্কিমে যোগ দেওয়া শুরু করেছে৷ দেশের মধ্যে দু’লাখের বেশি কমন সার্ভিস সেন্টারের প্রায় ৬০ হাজার সেন্টার শহর অঞ্চলে অবস্থিত৷ গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে মাত্র ২৫ টাকায় অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে৷ এই বিষয়ে HUPA মন্ত্রালয় ও ইলেকট্রনিক্স ও ইনফরমেশন টেকনলজির কমন সার্ভিসেস সেন্টার ই-গভারন্যান্স সার্ভিসেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের মধ্যে একটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছ। 

এই প্রজেক্টের ব্যপারে বিষদে জানতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে। 



Saturday 16 September 2017

হার মানলো প্রশাসন, কলকাতাতে আসছেই RSS প্রধান

ওয়েবডেস্কঃ- তিনি কলকাতাতে সভা করতে চাইলেই বাধার সন্মুখিন হন। বিভিন্ন ভাবে তাঁর সভাকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়ে। কখনও সঙ্ঘীদের হতে হয়ে আদালতের দ্বারস্থ, কখনও বা ওনাকে প্রধানবক্তা হিসাবে আনার অপরাধে(RSS-র অভিযোগ) বাড়তি টাকা নিয়েও বাতিল করা হয়ে সভা। কিন্তু তাতেও দমে পরে না রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের স্বয়ং সেবকরা।

  যানা গেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবতের সভা নির্ধারিত সময়েই হবে কলকাতায়। পূর্বনির্ধারিত মহাজাতি সদনে হচ্ছে না মোহন ভগবতের সভা। পূজার পরেই রাজ্যে আসার কথা রয়েছে RSS প্রধান মোহন ভগবতের। আগামী মাসের তিন তারিখে শহরে আসবেন তিনি। প্রথমে ঠিক হয়েছিল মহাজাতি সদনে অনুষ্ঠিত হবে মোহন ভগবতের সভা। কিন্তু, সেখানে বারতি টাকা নিয়ে সভার অনুমতি দিয়েও পরে তা বাতিল করে প্রশাসন। যার জেরে তৈরি হয় জটিলতা।

  জানা গিয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর নির্দিষ্ট দিনে সভা সফল করার জন্য  উদ্যোগতাদের সহায়তার জন্য স্বয়ং সেবকদের নির্দেশ দেন স্বয়ং মোহন ভগবত। সেই মতো আসরে নেমে পড়েন সংঘের সেবকরা। রাজ্য সরকার সভার অনুমতি না দেওয়ায় খোঁজ করা করা হয় কেন্দ্র সরকার পরিচালিত সভাস্থলের। একাধিক স্থান পর্যবেক্ষণের পর সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সংঘ প্রধানের সভা অনুষ্ঠিত করা হবে বলে ঠিক করেছে আরএসএস। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রও মিলেছে বলে জানানো হয়েছে সংঘের তরফ থেকে।

  মোহন ভগবতের সভা ঘিরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘের বিরোধ নতুন কিছু নয়। এর আগেও এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে শহর। কয়েকমাস আগেই শহরে মোহন ভগবতের সভার জটের জল গড়িয়েছিল আদালতে। অনেক নিয়ম মেনে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বিষয়ে আরএসএস দক্ষিণবঙ্গ সভাপতি জিষ্ণু বসু একটি দৈনিক পত্রিকাকে বলেছেন,“রাজ্য সরকার অনৈতিকভাবে আমাদের সভা করতে দিচ্ছে না। এভাবে আমাদের আটকে রাখা যাবে না।”

Thursday 14 September 2017

পুরনো গৌরব ফিরে পেতে চলেছে এলাহাবাদ

ওয়েবডেস্কঃ- ঐতিহাসিক শহর এলাহাবাদ আবার তার ঐতিহাসিক নাম ফিরে পেতে চলেছে। জানিয়ে রাখি যে অখিল ভারতীয় আখারা পরিষদের সুপারিশ মেনে এলাহাবাদ আবার প্রয়াগ নগর হতে চলেছে। আদি কাল থেকে এর নাম প্রয়াগ ছিল, কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে হিন্দুদ্রোহী মোঘলরা এর নাম বদলে আল্লাহ আবাদ করে দেয়, যা পরবর্তী কালে এলাহাবাদ হয়ে যায়।  কিন্তু যোগী সরকারের দৌলতে প্রয়াগ আবার তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে চলেছে।

  যদিও এর আগে রাজনাথ সিং মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ও এই প্রচেষ্টা হয়েছিল। সকলে সন্মতি জানালেও শেষ পর্যন্ত নাম বদল করার আগেই সরকার বদল হয়ে যায়ে। রবর্তী মায়াবতি বা যাদব পরিবারের সরকার এই নাম পরিবর্তনের জন্য আর কিছুই করেনি। ফলে শহরটিকে প্রাচীন দেশীয় নাম-কে ফিরিয়ে আনা আর হয়ে ওঠেনি। যোগী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই এই  উদ্যোগ নিতে শুরু করে।

ইসলামিক বাংলাদেশে অত্যাচারিত চাকমা বৌদ্ধদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে ভারত

 ওয়েবডেস্কঃ- গত বুধবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে এক সভা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে মুসলিম মৌলবাদীদের নির্যাতনে ভারতে পালিয়ে আসা চাকমাদের অনেককেই নাগরিকত্ব দেবে ভারত। এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশ মেনেই নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অতি শান্তিপ্রিয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত এমন এক সময় নিল যখন মায়ানমারের সেনাদের কাছে মার খেয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী প্রায়ে ৪০ হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা-দের ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়েছে ভারত সরকার। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মায়ানমার সফরও করেছেন।

  রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় না দেওয়া প্রসঙ্গে ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারত অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অভিবাসন নিয়ে। কারণ তারা ভারতে নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে।’ রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-র যোগাযোগের সম্পর্কে কয়েকদিন আগেই সাবধান করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ। ২০১৫ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চাকমাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখনও অরুণাচলের কংগ্রেস সরকার সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদিও বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভারত থেকে তারানোকে কংগ্রেস সবথেকে বেশি বিরোধ করছে।

  ১৯৬০ সাল থেকে ধর্মীয় কারণে ইসলামিক পাকিস্তান এবং পরবর্তী সময়ে ইসলামিক বাংলাদেশে, নিপীড়নের শিকার হয়ে চাকমারা ভারতে পালিয়ে আসতে থাকে। তারা ভারতের অরুণাচল প্রদেশসহ ত্রিপুরা, আসাম, মিজুরাম, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে আশ্রয় নেয়। চাকমারা বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল ও মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলেও আশ্রয় নিতে থাকে। আসাম হয়ে আসা এইসব শরণার্থীদের সংখ্যা ১৯৬৪-৬৯ সালে ছিলো ৫ হাজার, বর্তমানে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ।

Wednesday 13 September 2017

দেশে তীব্র খাদ্য সঙ্কট, ভাতের জন্য মায়ানমারের কাছে হাত পাতলো বাংলাদেশ


ওয়েবডেস্কঃ- মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশদ্রোহী রোহিঙ্গা মুসলিমদের উচ্ছেদের ডামাডোলের মধ্যেই সেই দেশ থেকে চাল আমদানির চুক্তি করতে মায়ানমার গেলেন ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। গত ৬-ই সেপ্টেম্বর ২০১৭ তে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মায়ানমার যায়ে। দলটি মায়ানমার থেকে বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরও (এমওইউ) করেছে। পাশাপাশি দ্রুত ২ থেকে ৩ লক্ষ্য টন চাল আমদানির ব্যাপারেও চুক্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

  বাংলাদেশর প্রতিনিধিদলে খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও আছেন সেদেশের খাদ্য মন্ত্রালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিঞা, খাদ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর খাদ্যসচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন ও উপসচিব জহিরুল ইসলাম খাদ্যনিরাপত্তা বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলম্বিয়া যান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। অবশ্য জাতীয় স্বার্থে বিশেষ ক্ষেত্রে তা করা যেতে পারে। বাংলাদেশে এখন খাদ্যাভাব চরমে। অতি নিম্ন মানের মোটা চালের দামও কেজি প্রতি ৪৫ টাকা বা তার বেশি। চালের উচ্চমূল্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। সংকট কাটাতে খাদ্য মন্ত্রক চলতি বছর ১৫ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। মাঝারি মানের চালের দর কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও সরু চাল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা। দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১০ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলেও গত চার মাসে মাত্র ২ লাখ ৫৫ হাজার টন চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য দপ্তর।

  এর আগে বাংলাদেশ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে ১০ লাখ টন করে মোট ৩০ লাখ টন চাল আমদানির জন্য চুক্তি করেছে। এর মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে ৯০৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় আড়াই লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ওই চালের মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে প্রায় ১ লাখ টন চাল দেশে পৌঁছেছে। আর আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এসেছে আরও ২৭ হাজার টন চাল। ভারত থেকেও গত মাসে বাংলাদেশের খাদ্য সংকট মেটানোর জন্য এক জাহাজ চাল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা ছিল প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম।

  রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে উত্তেজনা এখন আন্তর্জাতিক মাত্রা পেয়েছে। এমন সময়ে চাল আমদানির জন্য মায়ানমারের সঙ্গে চুক্তি কতটুকু সফল হওয়া যাবে—খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে সে দেশের পত্রিকা প্রথম আলোকে তিনি বলেন,‘মায়ানমার সফরের আগে আমি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তাঁরা আমার এই সফর অনুমোদন করেছেন। রাজনৈতিক কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে বাণিজ্য তো বন্ধ থাকতে পারে না।’ তবে যে যাই বলুক ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মায়ানমারের সব রকমের অভিযানের পরেও, অপর এক ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ কিন্তু,"আপনি বাঁচলে বাপের নাম" এই প্রাচীন বাংলা প্রবাদ কেই প্রমাণ করে দিল।

সিপিএম কারও বাপের পার্টি নয়! ঋতব্রত ট্যুইট এখন ভাইরাল

সিপিএম কারও বাপের পার্টি নয়! ঋতব্রত ট্যুইট এখন ভাইরাল


ডেস্ক: বুধবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের শেষে সিপিএম থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আর খবরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পার্টি থেকে যে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে সে ব্যাপারে চব্বিশ ঘন্টা আগেই নিশ্চিত ছিলেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া এই তরুণ তুর্কি৷ তাই আগেভাগেই টুইট্যারে কটাক্ষের সুরে তিনি লেখেন, ‘পার্টি আমার পার্টি তোমার, পার্টি কারও বাপের নয়।’ ঘনিষ্ঠ মহলে ঋতব্রতর দাবি করেছেন, তিনি সঠিক বিচার পাননি। তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি৷ দলে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে। পার্টির পেটুয়ারা, যাঁরা তাঁর উত্থানে ঈর্ষান্বিত ছিলেন, তাঁরাই চক্রান্ত করে রাজনৈতিক অস্তিত্বকে বিপন্ন করা জন্যই এমনটা ঘটিয়েছেন৷

জাতিসংঘ অধিবেশনে যাচ্ছেন না সু চি


1372
Shares

জাতিসংঘ অধিবেশনে যাচ্ছেন না সু চি

loading...
loading...