Thursday 14 September 2017

ইসলামিক বাংলাদেশে অত্যাচারিত চাকমা বৌদ্ধদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে ভারত

 ওয়েবডেস্কঃ- গত বুধবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে এক সভা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে মুসলিম মৌলবাদীদের নির্যাতনে ভারতে পালিয়ে আসা চাকমাদের অনেককেই নাগরিকত্ব দেবে ভারত। এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশ মেনেই নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অতি শান্তিপ্রিয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত এমন এক সময় নিল যখন মায়ানমারের সেনাদের কাছে মার খেয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী প্রায়ে ৪০ হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা-দের ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়েছে ভারত সরকার। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মায়ানমার সফরও করেছেন।

  রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় না দেওয়া প্রসঙ্গে ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারত অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অভিবাসন নিয়ে। কারণ তারা ভারতে নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে।’ রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-র যোগাযোগের সম্পর্কে কয়েকদিন আগেই সাবধান করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ। ২০১৫ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চাকমাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখনও অরুণাচলের কংগ্রেস সরকার সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। যদিও বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভারত থেকে তারানোকে কংগ্রেস সবথেকে বেশি বিরোধ করছে।

  ১৯৬০ সাল থেকে ধর্মীয় কারণে ইসলামিক পাকিস্তান এবং পরবর্তী সময়ে ইসলামিক বাংলাদেশে, নিপীড়নের শিকার হয়ে চাকমারা ভারতে পালিয়ে আসতে থাকে। তারা ভারতের অরুণাচল প্রদেশসহ ত্রিপুরা, আসাম, মিজুরাম, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে আশ্রয় নেয়। চাকমারা বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল ও মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলেও আশ্রয় নিতে থাকে। আসাম হয়ে আসা এইসব শরণার্থীদের সংখ্যা ১৯৬৪-৬৯ সালে ছিলো ৫ হাজার, বর্তমানে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক লাখ।

No comments:

Post a Comment

loading...
loading...