ওয়েবডেস্কঃ- মূর্তিভাঙ্গা উৎসবে এবারেও মেতে উঠেছে বাংলাদেশ। একের পর দুর্গা মূর্তিকে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়ে সেদেশের সংখ্যাগুরুরা প্রমাণ করতে মরিয়া যে, এই দেশে সংখ্যালঘু হওয়া অপরাধ। আর এসবের মাঝেই একরকম বাধ্য হয়েই মুখ খুললেন, সে দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য লড়াই করা বিজেপি(বাংলাদেশ জনতা পার্টি) নেতা শ্রী মিঠুন চৌধুরী। কি এমন বলেছেন বিজেপি নেতা মিঠুন বাবু যার ফলে গোটা বাংলাদেশে হৈ চৈ পরে গেছে?
ওনার পুরো লেখাটাই নিচে তুলে ধরা হোল,
যে দেশে দেবী দূর্গার মাথা থাকে না, সেই দেশ কিভাবে অসাম্প্রদায়িক হয়?
কি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বসবাস করছি অামরা? যেন প্রেমের মিলন!! এখন কি
বলবেন রানা দাস গুপ্তের মত নেতারা? কেন দেবী দূর্গার মাথা নেই? এত
নিরাপত্তার মধ্যেও যদি এমন অবস্হা হয় তাহলে হিন্দুরা যাবে কোথায়? এসবের
প্রতিবাদ করলেই অামরা সাম্প্রদায়িক? অার কত কাল হিন্দু জাতীর মাথায় কাঠাল
ভেংগে খাবেন অাপনারা? জেনে রাখা ভাল, বাংলাদেশে যে কোন বড় হিন্দু উৎসবের জন্য অধিকাংশ সময়েই বিশেষ ভাবে পুলিশের অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়ে।
মিঠুন চৌধুরী |
দৈনিক
প্রথম অালো ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সংবাদের মন্তব্যে এক হিন্দুত্ববাদী
নেতার কথা শুনে মনে হল ঐ নেতা বিশ্ব হিন্দুপরিষদ ও ভারতীয় জনতা পার্টি
বাংলাদেশে কিছু করতে হলে উনাকে জিজ্ঞেস করতে লাগবে! তাহলে এপ্রিল থেকে ১লা
জুলাই পর্যন্ত ইন্ডিয়াতে যে সমস্ত কর্মসূচি তাঁদের সহযোগিতায় করছি তা
পুরাপুরি মিথ্যে? ইন্ডিয়ার প্রচার মাধ্যম তাহলে মনে হয় খুব বোকা?! অামাকে
নিয়ে এত প্রচার করলো!! ভাবতে অবাক লাগে এত হিংসাত্নক জাতি অামরা!
মার খেতে খেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে তবুও পরনিন্দা, পরচর্চা গেল না! পৃথিবীর
কোন দেশে সামাজিক সংগঠন করে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে ! সবাই কে
রাজনীতি করতে হবে এমন কোন কথা নেই! তবুও বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়
সংগঠের সাথে অামরা কথা বলে, সবার ইতিবাচক সম্মত্তি দেওয়ার পর বাংলাদেশ জনতা
পার্টি(বিজেপি) রাজনৈতিক দল ঘোষনা করেছি। দেখছি এবং সময়ের জন্য অপেক্ষা
করছি! কে কি বলতে পারে এবং কত দূর যেতে পারে ?
অামাদের মাঝে কিছু সংগঠন অাছে ওদের কাজ হচ্ছে শুক্রবারে প্রোগ্রাম করা ! শুক্রবারে সবাই বেকার! বেশী লোক দেখানো যায়! অাপনারা জানেন মহাভারতে পঞ্চ-পান্ডব মাত্র ভাই পাঁচ ভাই ছিল। সেই পাঁচ ভাই
অত্যাচারী দুর্যোধনের শত ভাইকে পরাস্ত করে রাজ্য জয় করেছিল। বাংলাদেশ জনতা
পার্টি( বিজেপি) সে রকমই কিছু। সময়েই দেখবেন।
বাংলাদেশ জনতা পার্টি ( বিজেপি)র কি ক্ষমতা বা অামাদের সাথে কে কে অাছে ? সব প্রকাশ করলে তো অামাদের কৌশলেই শেষ ! আর এটাই রাজনীতি ! যখন সারা দেশে বাংলাদেশ জনতা পার্টিকে নিয়ে রীতিমত হই চৈই ! তখন অামাদের কিছু হিন্দু নেতার বাচালতা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অালোচনা সমালোচনা যাই করো না কেন ? নতুন চেতনায়, নব সূর্যে অাসছে বিজেপি।
অালো যেমন দিবে অন্যায়কারী ও দালালদের জ্বালিয়েও দিবে। সেই ভয় কিন্ত
অনেকেরই অাছে ! অামাদের লজ্জা থাকা উচিত গণহারে সারাদেশে মুর্তি
ভাংচুর হচ্ছে। জমি জবর দখল হচ্ছে। হিন্দু মেয়েরা বেশী ধর্ষিতা হচ্ছে। অামরা
রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে চাই। অামাদের সহযোগিতা করবে তো দূরের কথা
উল্টু হিন্দু নেতারা কঠোর সমালোচনা করছে। তাহলে এসব নেতারা কি চায় না
অামাদের অবস্থার পরিবর্তন হোক? অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক?
বাংলাদেশ জনতা
পার্টি ( বিজেপি) সতেরো কোটি লোকের জন্য রাজনৈতিক দল। অামার জাতি সত্বাকে
রক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যদি অামি সাম্প্রদায়িক হই। অামি গর্বিত। যদি
নির্যাতিত, নিস্পেষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অামার ফাঁসি হয়, অামি
হাসতে হাসতে ফাঁসির রশ্নি গলায় নেব তবুও জাতীর সাথে বেঈমানী করব না। এ
অামার অঙ্গিকার।।
।। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক ।।
মিঠুন চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটি
বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি)
ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৭-০৯-১৭
No comments:
Post a Comment