Thursday 7 September 2017

খালি সারি সারি এসি তাবু, তাও ১০০০ রোহিঙ্গা মুসলিমেরও ঠাই মেলেনা সৌদি আরবে...

 ওয়েবডেস্কঃ-  সৌদি আরব, পৃথিবীর ধনীতম দেশ গুলোর মধ্যে একটি। এই দেশের দিকে কেউ চোখ তুলে দেখলেও যে কোন সময়, সারা পৃথিবীর কোটি কোটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রাণের ঝুকি নিয়েও দেশটিকে রক্ষা করার জন্য তৈরি হতে পারে। কারণ এই দেশটি ইসলামের প্রাণকেন্দ্র। 

  এই ধনকুবের মরুভুমির দেশটির মিনা শহরে রয়েছে পৃথিবীর সব থেকে বেশি তাবুর সারি। তাই এই মিনা শহরকে টেন্টসিটি বা তাবু নগরীও বলা হয়ে। অত্যাধুনিক উপায়ে পয়ঃপ্রনালি এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। কিন্তু চমকটা অন্য জায়েগাতে। আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তাবু নগরি বা টেন্ট সিটিতে একলক্ষ বাতানুকূল বা এসি তাবু রয়েছে। প্রত্যেকটি তাবুতে তিন জন অর্থাৎ মোট তিরিশ লক্ষ মানুষ এই টেন্ট সিটিতে থাকতে পারে। এই বিলাশ বহুল টেন্ট সিটি বছরের একটা বড় সময় এমনিই খালি পরে থাকে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল এই বিলাস বহুল তাবু গুলো খালি পরে থাকলেও(অনেক সময়ই) পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে, বিভিন্ন কারনে আক্রান্ত মুসলিম উদ্বাস্তুদের একজনকেও এখানে ঠাই দেওয়া হয়ে না। 

  এই রকমই অভাগা মুসলিমদের মধ্যে পরে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়। বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে নাগরিকত্ব গেছে বহু আগেই। তাই মায়ানমারে ওরা ন্যুনতম নাগরিক সুবিধা টুকুও পায়ে না। এরপরেও বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা বজায়ে রেখে সশস্ত্র আন্দোলন করার জন্য

  প্রায়ে প্রতিদিনই মায়ানমারের সেনাদের কাছে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম বহু দিন আগে থেকেই
পালিয়ে গেছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এমনকি নেপালের মত হত দরিদ্র দেশও ওদের ঠাই দিলেও, সৌদির মত ধকুবের দেশে ওদের ঠাই মেলেনি।  তবে একজনকেও ঠাই দেয়নি বললে ভুল হবে, তবে সংখ্যাটা না দেওয়ার মতই। হয়েতো মুখ বাচাতে ঐ কয়েকজনকে ঠাই দেওয়া হয়েছে। জানলে অবাক হবেন, সৌদি আরবের থেকে বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ঠাই দিয়েছে নেপাল। ভারতীয় সংস্কৃতিকে অনুসরণ করে চলা দেশ নেপাল পরিচয় দিয়েছে মানবিকতার। ভারতে জামাই আদরে থাকা রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংখ্যাটা আলাদা ভাবে নাই বা বললাম।

  এই রকম অবস্থায়ে অনেক নেটিজেনরাই প্রশ্ন তুলেছে, যে দেশে একলক্ষ এসি তাবু থাকতে পারে(যা অনেক সময়ই ফাঁকা থাকে), সেই দেশ কি মাত্র একহাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকেও ঠাই দিতে পারে না? ঐ ফাঁকা পরে থাকা একলক্ষ তাবু গুলোর থেকে কি মাত্র ৫০০টা তে ওদেরকে ঠাই দেওয়া যায়ে না? সৌদির সংস্কৃতিকে যারা অনুসরণ করে, সেই আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের প্রতি সৌদির এই অবহেলা কেন? প্রত্যাশা মতই কোন উত্তর কারুর থেকেই পাওয়া জায়েনি। তবে মনে করা হচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্যই হয়েতো ওদের থেকে গা বাঁচিয়ে চলছে সৌদি আরব। আর সেই জন্যই ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমরা মাথার উপর ছাদ না পেয়ে মরছে এবং ওদেরই পিতৃতুল্য দেশ সৌদি আরব এসি টেন্ট গুলোতে ওদের ঠাই না দিয়ে ধনী স্বচ্ছলদের ব্যবহারের জন্য ফাঁকা ফেলে রাখছে।

1 comment:

  1. ওরা বুদ্ধিমান তাই দেয় নি। ভাল করেছে। নিজের জাত কে চেনে তো। তাই খাল কেটে কুমির আনে নি।

    ReplyDelete

loading...
loading...