ওয়েবডেস্কঃ- এবার বাংলাদেশেও ভোটে লড়তে চলেছে বিজেপি। তাও আবার পদ্ম চিহ্নে। অবাক হওয়ার কিছুই নেই ঠিকই পড়েছেন। ইসলামিক বাংলাদেশে শুধুমাত্র বিধর্মী হওয়ার অপরাধেই অত্যাচারিত হওয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা সংগঠিত হয়েই তৈরি করেছে এই রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি এবং সমমনা অর্ধশতাধিক
সংগঠন নিয়ে গঠিত হল, বাংলাদেশ জনতা পার্টি বা বিজেপি। নতুন এই রাজনৈতিক দল
প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছে পদ্মফুল। গতকালই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই
রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করেন দলের প্রেসিডেন্ট ও মুখপাত্র মিঠুন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মহাসচিব দেবাশিস সাহা, ঢাকা মহানগর বিজেপির
সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল সাহা, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ
কৃষ্ণ কুরারী প্রমুখ।
দলের মুখপাত্র মিঠুন চৌধুরী বলেন, অর্ধশতাধিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে
মনোনয়ন চূড়ান্তের স্বার্থে বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি) নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ পার্টির নির্বাচনী প্রতীক পদ্মফুল ও পদ্মফুলের নিচে দুটি হাত। তিনি জানান, ২০১৪ সালে সংখ্যালঘুদের জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান আদিবাসী পার্টি ছাড়াও এ দলে আছে মুক্তির আহ্বান,
বাংলাদেশ সচেতন সংঘ, জাগো হিন্দু পরিষদ, আনন্দ আশ্রম, হিন্দু লীগ, সনাতন
আর্য সংঘ, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ ঋষি সম্প্রদায়, বাংলাদেশ
মাইনরিটি ফ্রন্ট, হিউম্যান রাইটস, হিন্দু ঐক্য জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন।
সে দেশের অনেকই নব নির্মিত এই রাজনৈতিক দলটিকে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষার জন্যই তৈরি হওয়া দল বলে অভিহিত করেছেন। যদিও ভুল বলেনি ইসলামিক বাংলাদেশে বিধর্মীদের উপর ক্রমবর্ধমান অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একাধিক সংগঠনের সংগঠিত হয়ে এমন এক রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি হওয়া একেবারেই নজির বিহীন। তবে দেখার বিষয় হল যে দেশের অধিকাংশ মানুষই সাম্প্রদায়িক মনভাবাপন্ন, সে দেশে এমন এক রাজনৈতিক দল কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
No comments:
Post a Comment