Saturday 9 September 2017

তদন্তে পাওয়াই গেল না রোহিঙ্গা গণ-হত্যার প্রমাণ


ওয়াবডেস্কঃ- মায়ানমারকে ধর্মের নামে ভাগ করতে চাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যাকে কেন্দ্র করে মায়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপে সন্মতি জানাতে অস্বীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসটিভি এবং MT News-র খবর অনুযায়ী, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নাউয়ার্ট সাংবাদিকদের বলেন, "মায়ানমার নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এ সময় আগ বাড়িয়ে অযথা কোন পদক্ষেপ নিতে চায় না  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিনি দাবি করেন, মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় সহায়তায় গণহত্যা চালানো হচ্ছে বলে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য বলে কোন প্রমাণই পায়নি মার্কিন কর্মকর্তারা।" এমতাবস্থায়ে কিছু ভিত্তিহীন উস্কানি মূলক খবরের উপর ভিত্তিকরে, আমেরিকার মত দায়িত্বশীল দেশের পক্ষে সম্ভব নয়ে অকারণে মায়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য আহ্বান জানানো। উল্লেখ্য রাশিয়া, চিন, পাকিস্তান, ভারতের পর মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে যেতে অস্বীকার করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।

  আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি(আরসা) নামে একটি ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন, গত ২৫ আগস্ট ভোরে রাখাইনের কয়েকটি পুলিশ চৌকিতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু, রাথেডাং, বোথেডাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। সেনা অভিযানে এ পর্যন্ত চারশো-র বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে বলে প্রচার করছে মুসলিমরাষ্ট্র গুলোর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। এমন কি সোশ্যাল মিডিয়াতে চিনের ভুমিকম্পে ধ্বংস বাড়ি ও নিহতদের ছবিকেও মায়ানমারে আক্রান্ত রোহিঙ্গা মুসলিমদের ছবি বলে অনেক উস্কানি মূলক প্রচার করেই চলেছে, ঐসব দেশের হেফাজত-ই-ইসলাম বা জামাত-উল-বাংলাদেশের মতো একাধিক ইসলামিক সংগঠন। এইসব ভুয়ো খবরের উপর ভিত্তি করে আবার আমাদের দেশেরও অনেক মানবতাবাদীরা সু কি-র নোবেল ফেরতের জন্য পিটিশন তৈরি করেছে।

  মায়ানমার ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার সময় থেকেই রোহিঙ্গা মুসলিমরা মায়ানমারকে ধর্মের নামে ভাঙতে চেয়ে একাধিক রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা করেছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের এহেন আচরণ দেখে শেষে একরকম বাধ্য হয়েই শাস্তি হিসাবে মায়ানমার সরকার ৮০-র দশকে ওদের নাগরিকত্তই বাতিল করে দেয়। এর পরেও ওরা না তো দেশ ভাঙ্গার দাবি ছেড়েছে, না বন্ধ করেছে দাঙ্গা। এই জন্যই আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ। এতে কিছু মানুষের সমস্যা হলেও এই অঞ্চলে বসবাসকারি বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুরবস্থা নিয়ে, যে অতিরঞ্জিত প্রচার চালানো হচ্ছে তার অধিকাংশই যে মিথ্যা সেটা মার্কিন রিপোর্টই প্রমাণ করলো।

2 comments:

  1. boss Hithar Nauart er Video clip ta paoa jbey ???

    ReplyDelete
  2. Ei fake , mukhosh dhari secu.ra Barbara, Osovyo, Suor Muslim der Hathe Hindu der B.D.-e Nidhon hochhe, kothay chhilo?

    ReplyDelete

loading...
loading...