Monday 4 September 2017

এবার সেনাকে সীমান্তের লাইভ ফুটেজ দেবে দেশি রিয়েল টাইম স্যাটেলাইট


ওয়েবডেস্কঃ- সীমান্ত সমস্যা এবং জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান এবং চিনের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ভারতকে বে-কায়েদাতে ফেলার সব ধরনের চেষ্টা হাতে হাত মিলিয়ে করেই চলেছে এই বাম এবং ইসলামিক রাষ্ট্রজোটতাই আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ভারতের, বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা শত্রুদেশের সেনাবাহিনী এবং তাদের সাহাজ্যপ্রাপ্ত জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজরদারি করতে এবার রিয়েল টাইম স্যাটেলাইটের সাহায্য নিতে চলেছে ভারত।

  বর্ডার রক্ষার কাজে নিয়োজিত বিএসএফ, আইটিবিপি ও এসএসবির জওয়ানদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই এই স্যাটেলাইটের সাহায্য নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে রিয়েল টাইমে পাকিস্তান ও চিনের সেনাবাহিনীর উপর নজর রাখা যাবে। অর্থাৎ সীমান্তে পাকিস্তান ও চিনের সেনাবাহিনীর যে কোন মুভমেন্টের লাইভ ভিডিও দেখতে পাবে সেনারা। জঙ্গি অনুপ্রবেশের বিষয়টিও ধরা পড়বে। যে কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে এবং সীমান্ত এলাকার মানচিত্র বুঝতে সুবিধা হবে। জঙ্গি অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে বিদেশি শক্তির সীমান্ত বরাবর আনাগোনা বা জমায়েত, সবই লাইভ ধরা পড়বে এই স্যাটেলাইটে।

  ডিএনএ-র খবর অনুযায়ী,  বিএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি-র অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ইসরোর কার্যকর্তাদের। সীমান্তে নজর রাখার জন্য কতগুলি স্যাটেলাইটের দরকার সে বিষয়েটিও আলোচনাতে উঠে এসেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে চলা কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করছে বলেই সূত্রের খবর। কারণ সোনিয়া-মনমোহন পরিচালিত সরকার থাকা কালীন একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে সেনার তরফ থেকে সরকারের কাছে জানানো হলেও কোন কিছুই হয়েনি।

  এই মুহূর্তে ভারতের মোট ১৩টি স্যাটেলাইট শত্রুপক্ষের উপর নজর রাখে। তবে এগুলোর প্রত্যেকটিই রিমোর্ট সেন্সিং এবং কোনটিতেই রিয়েল টাইম ফুটেজ পাওয়া যায়ে না। তবুও এইসব স্যাটেলাইট গুলোর মাধ্যমে সীমান্তে মানচিত্র দেখা যায়, সীমান্তের ওপারে নজরদারি চালানো যায়, সমুদ্রেও থাকে কড়া নজর রাখা যায়ে। পৃথিবীর কক্ষপথের কাছে ঘোরাফেরা করে এইসব রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট।

  রিমোর্ট সেন্সিং স্যাটেলাইটের থেকে কেন রিয়েল টাইম স্যাটেলাইট ভাল? কারণ রিয়েল টাইম স্যাটেলাইট দিয়ে কোন অঞ্চলের পরিস্থিতির লাইভ ফুটেজ পাওয়া সম্ভব। অনেকটা, যে ভাবে ঘরে বসেই লাইভ খেলা দেখা যায়ে, ঠিক সেই ভাবেই মাইক্রো-সেকেন্ডের পার্থক্যে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সীমান্তের এবং তাঁর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লাইভ ফুটেজ পেয়ে যাবে সেনা। এখন এই লাইভ ফুটেজ বা খবরাখবর নেওয়ার জন্য একাধিক গুপ্তচর ড্রোন এবং আওয়াক্স ব্যবহার করা হয়ে। তবে আওয়াক্স ও ড্রোনের সব থেকে বড় অসুবিধা হল এর মাধ্যমে ৩৬৫ দিন ধরে ২৪x তথ্য পাওয়া যায়ে না। কারণ এদের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলেই ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হয়ে। সব রকমের জলবায়ুতে ড্রোন ও আওয়াক্সকে ব্যবহার করাও সম্ভব নয়ে। তবে স্যাটেলাইটে এই সমস্যা গুলো নেই। তাই ভারত অদূর ভবিস্যতেই সীমান্ত নজরদারিতে রিয়েল টাইম স্যাটেলাইট ব্যবহার করা শুরু করতে চলেছে ভারত।

No comments:

Post a Comment

loading...
loading...